যে কারণে আদায় করতে হবে সদকাতুল ফিতর
- Details
- by রিদওয়ান বিন ওয়ালী উল্লাহ
মানুষের জন্য দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবন পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। সূরা মুলকে আল্লাহ বলেন, ‘আমি জীবন ও মৃত্য সৃষ্টি করেছি কে সবচেয়ে ভালো আমল করে তা পরীক্ষা করার জন্য।’ জন্মের পর থেকে প্রত্যেকের পরীক্ষার সময় শুরু হয়ে গেছে। যা শেষ হবে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। এ সময়টুকুতে নেক কাজে ডুবে থাকলেও মৃত্যু আসবে। আবার অন্যায়ে মেতে থাকলেও আসবে। একবার মরে গেলে কাউকেই পৃথিবীতে আর ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হবে না।
আল্লাহ বলেন, ‘কারো ‘নির্ধারিত সময়’ যখন এসে যাবে, তখন কাউকেই এক মুহূর্ত সুযোগ দেয়া হবে না, দুনিয়ার জীবনে যে যা কিছু করছে আল্লাহ তায়ালা সে সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞাত।’ সূরা আল মোনাফেকুন, আয়াত ১১।
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত থেকে আরো জানা যায় , মানুষ মরে গেলে দ্বিতীয়বার দুনিয়ায় আসতে চাইবে ইবাদত করে আরো ভালোভাবে পরীক্ষা দেয়ার জন্য। এটা পাপী বান্দা এমনকি পাক্কা মুমিন বান্দাও চাইবে। যদি এখনই পরিপূর্ণভাবে নেক আমল করে সময়ের সঠিক ব্যবহার করা যায তাহলে দ্বিতীয়বার আর ফিরে আসার জন্য আক্ষেপ করতে হবে না।
দুনিয়ার হায়াতে সবচেয়ে ভালো পরীক্ষা দিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিদান পাওয়ার সময় হচ্ছে রমজান মাস। এ মাসে অসংখ্য মর্যাদার মধ্যে সবচেয়ে বড় মর্যাদা হলো এ মাসে লাইলাতুল কদর আছে। এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাতের ইবাদত পূর্বের জীবনের গোনাহ মাফের কারণ। এ মাসে ইতিকাফের মত মহা মূল্যবান ইবাদত আছে। আছে তারাবি, কিয়ামুল্লাইল, সেহেরি, ইফতার, রোজা, দান ও সদকা ইত্যাদি।
রমজানের যে কোনো দিন সদকাতুল ফিতর আদায় করা যায়। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা সুন্নাত বলে হাদিসে এসেছে। সদকাতুল ফিতর দিলে রোজাদারের আত্মা পবিত্র হয় এবং দুঃস্থ মানুষের ভালো-মন্দ খাওয়ার সুযোগ হয়।
রমজানের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করলে মৃত্যুর পর আফসোস করতে হবে না। তাই চলুন বিপর্যস্ত এই সময়ে যাকাত, সাদকাতুল ফিতর ও সাধারণ দানের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রজমানে অতুলনীয় সাওয়াব অর্জন করে প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করি।
লেখক: এম. ফিল গবেষক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর