ভাইরাস দিয়ে ভাইরাস ধ্বংসের ভ্যাকসিন আনছেন চীনা গবেষকরা!

নিষ্ক্রিয় ভাইরাস থেকে বিশেষ উপায়ে একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছেন চীনা গবেষকরা। এটি বন্যপ্রাণীর দেহে মরণঘাতী করোনাভাইরাসেরর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রমাণ হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

হিন্দুস্তান টাইমসের বরাতে জানা যায়, অকার্যকর ভাইরাস থেকে ডেভেলপ করা ভ্যাকসিনকে ‘ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন’ বলা হয়। চীনের গবেষকরা নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস থেকে একটি নমুনা তৈরি করে তা বন্যপ্রাণীর ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে ভালো ফলাফল পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গবেষণাটি করেছেন বেইজিং ইনিস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের গবেষকরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চীনের জাতীয় নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সাইন্সেসের গবেষকরা।

প্রতীকী ছবি

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এটি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা বেশ কয়েকটি নমুনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম। কারণ ইঁদুর, গিনি পিগ, খরগোশ, বানরের ওপর এই ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন প্রয়োগে দেখা গেছে, বন্যপ্রাণীগুলোর দেহে যথেষ্ট পরিমাণ নিউট্রাল এন্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা করোনাভাইরাসকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম। এর ফলে ভাইরাসটি কোনো সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।

নিউট্রাল এন্টিবডি মূলত একটি কোষকে সংক্রামক ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়াতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে।

গবেষকরা বলছেন, এই ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন উচ্চমাত্রায় এন্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। সেইসঙ্গে এসব এন্টিবডির প্রভাবে দেহে জিনোম সিকুয়েন্সও বেশ স্থির দেখা গেছে, যা মানবদেহের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে কার্যকর ফল পাওয়া যেতে পারে।

জানা যায়, এই ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন ছাড়াও চীনা গবেষকরা করোনাভাইরাসের আরো চার রকমের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় আছেন। সেগুলো- প্রোটিন ভ্যাকসিন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন, এডিনো ভাইরাস ভ্যাকসিন এবং নিউক্লিক এসিড সমৃদ্ধ ভ্যাকসিন।

এখন পর্যন্ত এসব ভ্যাকসিনের মধ্যে চারটি ইন্যাক্টিভেটেড ও একটি এডিনো ভাইরাস ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে চীনা প্রশাসন।