দ্রুত ভ্যাকসিন আনতে মরিয়া ব্রিটিশ গবেষকরা

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষকরা করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন। তাদের আশা, এটি ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রস্তুত হয়ে যাবে। আগামী ১৫ জুন থেকে মানবদেহে এই নমুনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি

আরব নিউজের বরাতে জানা যায়, এটি যুক্তরাজ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিতীয় বড় গবেষণা। প্রথমটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির নমুনা ভ্যাকসিনের গবেষণাটি। যা ইতোমধ্যে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। সফলতা মেলায় চলতি বছরই তারা এর বাণিজ্যিক উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছে ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষণাটি।

ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষকরা একটি আরএনএ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন। যা করোনাভাইরাসের মুকুট সদৃশ প্রোটিনের ওপর কার্যকর প্রভাব বিস্তার করে তা নষ্ট করে দেয়। এই মুকুট সদৃশ প্রোটিনের কারণেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম হয়। আগামী ১৫ জুন থেকে এই আরএনএ ভ্যাকসিনের মানবদেহের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে।

গবেষকরা বলছেন, প্রথম দফায় তারা ছয় হাজার মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে অক্টোবরে শেষ হবে সেই প্রক্রিয়া।

ইম্পিরিয়াল কলেজের গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া অধ্যাপক রবিন শ্যাটক বলেন, মানবদেহে প্রয়োগে যাতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা ল্যাব টেস্টে ছয় মাস সময় নিয়েছি। যদি আমাদের সবগুলো পরীক্ষা ও ধাপ সফল হয় তাহলে ২০২১ সালের প্রথম ভাগেই এই আরএনএ ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রতিযোগিতায় আমাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী অক্সফোর্ডের গবেষণা। তারা বেশ সুদৃঢ়ভাবে এগুচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের তথ্যের আদান-প্রদানও হয়েছে। কারণ গবেষণায় সবকিছু সঠিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। ভুল হলেই সব শেষ। আমরা প্রায়ই প্রতিদ্বন্দ্বী থাকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে, এবারও হলাম। কিন্তু তাই বলে কেউ কারো বিরোধিতা করি না। মূলত দুই দল খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেই নিজেদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ খুব দ্রুত বিশ্বকে একটি ভ্যাকসিন দিতে হবে আমাদের।