বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজ শুধু ‘বিভ্রান্ত’ করা!

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আলোচনার টেবিলে চলে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে এই সংস্থাটি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। এই ক্রান্তিকালে যখন সংস্থাটির সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার কথা ছিল তখন তারা একের পর এক ‘বিভ্রান্ত’ করে চলছে বিশ্ববাসীকে, বিতর্কিত করে চলছে নিজেদের অবস্থান। সংস্থাটির এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।

জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সংস্থাটি পরিচালিত হয় সদস্য রাষ্ট্রসমূহের চাঁদার মাধ্যমে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, একটি সদস্য রাষ্ট্রের কতটকু কাজে লাগে এই সংস্থাকে। বিশেষকরে এই দুঃসময়ে করোনাভাইরাস ঠেকাতে কতটুকু ভূমিকা রাখছে সংস্থাটি। এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই। উল্টো সংস্থাটির কার্যকলাপ করোনাভাইরাসকে আরো ছড়িয়ে দিচ্ছে কিনা, কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ এমন প্রশ্ন উত্থাপন করতেও কসুর করেননি।

করোনাকালে শুধু ব্রিফ করা নিয়েই ব্যস্ত সংস্থাটি। উপরন্তু আজ তারা ঘটা করে যা বলছে, কাল সরে যাচ্ছে সেই অবস্থান থেকে! এতে করে তাদের নির্দেশনা মানা যেমন কঠিন, তেমনি কঠিন হয়ে পড়ছে বিশ্বাস রাখাও। গত সোমবার সংস্থাটি উপসর্গহীন করোনা রোগীর মাধ্যমে করোনা ছড়ায় না বলে মতামত দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের তীব্র আপত্তির মুখে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মাথায় সেই মতামত থেকে সরে এসেছে তারা।

সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য যখন মাস্ক পরিধানের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলল, তাদের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, মাস্ক পরলে করোনা সংক্রমিত হতে পারে না। এই বিবৃতির পর অনেকেই মাস্ক পরা ছেড়ে দিল। কিন্তু ঠিক মাসখানেক পর ১৮০ ডিগ্রি উল্টো অবস্থানে গিয়ে তারা জানাল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাইরে বেরুলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে!

এমন আরো অনেক দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে জর্জরিত সংস্থাটি। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ চীনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ এনেছে সংস্থাটির প্রতি। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সদস্যপদ তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টও।