তুরস্কে মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তার কারাদণ্ড, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

তুরস্কের একটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহযোগিতার অভিযোগে মাতিন তপুজ নামে মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তুর্কি আদালত। এই রায়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তুর্কি আদালতের সামনের প্রাঙ্গণ

দ্য আরব নিউজের বরাতে জানা যায়, মার্কিন ড্রাগ ইনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) অনুবাদক হিসেবে ইস্তাম্বুলের মার্কিন দূতাবাসে কাজ করতেন মাতিন তপুজ। ২০১৬ সালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সামরিক অভ্যুত্থানে সহায়তার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে ৮ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দেয় তুরস্কের স্থানীয় আদালত।

মাতিন তপুজ বর্তমানে কারাগারে আছেন। ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানে সহায়তার অভিযোগের পাশাপাশি, এক পুলিশ কর্মকর্তা ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিম নেতা ফতেউল্লাহ গুলেনের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও আনা হয়। তুর্কি প্রশাসন বলছে, গুলেন ও ওই পুলিশ কর্মকর্তাই হলেন সামরিক অভ্যুত্থানের মূল নীল নকশাকারী। তবে গুলেন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তুরস্কে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস

এদিকে, তুর্কি আদালতে রায় ঘোষণার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়নি। এই রায়ের কারণে তুর্কি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মার্কিন আস্থা খর্ব হবে।

দ্য আরব নিউজ বলছে, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র। মাতিন তপুজের বিচারকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে।

তাছাড়া সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের বিষয়টিও ভালো চোখে দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। মতপার্থক্য দেখা গেছে সিরিয়া ইস্যুতেও। সেখানে কুর্দি যোদ্ধাদের সমর্থন দিচ্ছে মার্কিনিরা। অথচ তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে তুরস্ক।