আপনি পড়ছেন

গত বছরের শেষ প্রান্তে চীনের উহান শহরে প্রথম উৎপত্তি হয় করোনাভাইরাসের। এর পর তা চীনের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে চীনের সীমান্ত পেরিয়ে ভাইরাসটি এখন বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে বিস্তার লাভ করেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন ভাইরাসটি তাণ্ডব চালাচ্ছে তখন চীন এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করে। লকডাউন প্রত্যাহার করে খুলে দেওয়া হয় সবকিছু।

china beijing new restrictionচীনের রাজধানী বেইজিংয়ের একাংশে আবারো লকডাউন

কিন্তু চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে নতুন করে ৭ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এর অংশ হিসেবে বেইজিংয়ের একাংশ আবার লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। তবে আজ শনিবার দেশটির কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাতারভিত্তিক আলজাজিরার প্রতিবেদন বলছে, চীনে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের যে আশঙ্কা গবেষকরা করছেন, তা ঠেকাতেই পূর্ব সতর্কতা হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

china whuna no corona patientচীনের উহানের চিকিৎসকরা সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করেন

জানা যায়, টানা ৫৬ দিন পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বেইজিংয়ে নতুন করে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। স্থানীয় জিনফাদি মাংসের বাজার থেকে নতুন আক্রান্ত ওই সাত জনকে শনাক্ত করা হয়। এ অবস্থায় ওই বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

চীনা গণমাধ্যম বলছে, নতুন শনাক্তদের কয়েকজন সম্প্রতি বেইজিংয়ের শিনফাদি পাইকারি বাজারে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এর পর পরই সেটিও লকডাউন করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া জিংশেন সি-ফুড মার্কেটসহ ৬টি বাজার একই কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে দক্ষিণ বেইজিংয়ের ১১টি এলাকায়। সেইসঙ্গে আগামী ১৫ জুন প্রথম থেকে তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তাও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া সব সিনেমা হল, বার, খেলাধুলার ইভেন্টও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এসব বাজার, মার্কেট কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি চীনা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি লেনসেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় চীনা গবেষকরা সতর্ক করে বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শিগগিরই চীনে শুরু হতে যাচ্ছে। এ জন্য বেইজিংকে আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তারা।

চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক গাও ফু’র নেতৃত্বাধীন গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, হিনি (স্প্যানিশ) ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যুর হারের অনুপাত ছিল ০.১%। সে তুলনায় চীনের হুবেই প্রদেশে কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর হারের অনুপাত ৫.৯%। এ ছাড়া চীনের অন্যান্য প্রদেশে তা ০.৯৮%।

চীন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও গাও ও তার সহকর্মীরা সতর্ক করে বলেছেন, ভাইরাসের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সেদেশে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে শিগগিরই।

গবেষকদের দাবি, চীনে গোষ্ঠী সংক্রমণ না থাকলেও বিদেশ থেকে আমদানি হওয়া সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চীনের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যতদিন না এর টিকা আবিষ্কৃত হচ্ছে ততদিন মহামারি ঠেকানোর জন্য চীনের একমাত্র উপায় হলো স্থানীয় সংক্রমণ শূন্য বা কমপক্ষে ন্যূনতম হারে বেঁধে রাখা। এ জন্য রোগীর সন্ধান করা, আইসোলেশন এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করলেই শুধু হবে না। এর জন্য সরকারি ও সামাজিক স্তরে আরো বেশি সচেতনতা ও তৎপরতা প্রয়োজন।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.