আপনি পড়ছেন

মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে সপ্তাহখানেক আগে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু স্বীকার না করলেও দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ রিমাণ্ডে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মানব পাচারের কথা স্বীকার করে নেন। কুয়েতের প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক আরব টাইমস গতকাল এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

mp papul

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের হাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণ থাকার পরও প্রথমে এমপি পাপুল দোষ স্বীকার করেননি। তারপর তার সামনে ভুক্তভোগীদের ৭ জনকে হাজির করা হয়। তারা যখন সামনাসামনি এসে প্রতারণার শিকার হওয়ার কথা বর্ণনা করেন তখন চুপ ছিলেন পাপুল। তার সামনেই ভুক্তভোগীরা অভিযোগ আনলেও তিনি কিছু বলেননি। পরে দেশটির সিআইডির কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেন।

ইতোমধ্যে দেশেও এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অর্থ পাচার, হুন্ডি ব্যবসা, মানব পাচার, অবৈধ ভিসা ট্রেডিংসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রতারণার প্রাথমিক প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু কাগজপত্র হাতে এসেছে এই সংস্থাটির। সেসব যাচাই-বাচাইয়ের পর বিস্তারিত জানাবে দুদক।

dudok office

গত নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান পাপুল। কিন্তু মনোনয়ন না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়ে তাকে সমর্থন জানান। জানা যায়, বিপুল অংকের অর্থ ঘুষ দিয়ে তিনি প্রতিপক্ষকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।