আপনি পড়ছেন

মানব পাচারের বিরুদ্ধে কুয়েতের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘মানব পাচারের শীর্ষ হোতাকে (এশিয়ার একটি দেশের নাগরিক) আমরা গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, আমরা তাকে কোনো ছাড় দেব না।’ নাম উল্লেখ না করলেও এটা পরিষ্কার যে, কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী ‘শীর্ষ হোতা’ বলতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে বুঝিয়েছেন।

al mp papulলক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল

গত ৬ জুন মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু স্বীকার না করলেও দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ রিমাণ্ডে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মানব পাচারের কথা স্বীকার করে নেন। সেসময় তার সামনে ভুক্তভোগী ৭ জনকে নিয়ে আসা হয়।

ইতোমধ্যে দেশেও এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অর্থ পাচার, হুন্ডি ব্যবসা, মানব পাচার, অবৈধ ভিসা ট্রেডিংসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রতারণার প্রাথমিক প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু কাগজপত্র হাতে এসেছে এই সংস্থাটির। সেসব যাচাই-বাচাইয়ের পর বিস্তারিত জানাবে দুদক।

kuwait pmকুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ

রাজনীতিতে না থাকলেও হঠাৎ করে গত নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান পাপুল। কিন্তু মনোনয়ন না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়ে তাকে সমর্থন জানান। জানা যায়, বিপুল অংকের অর্থ ঘুষ দিয়ে তিনি প্রতিপক্ষকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।