সবচেয়ে বাজে সময়ে রোনালদো!

ফুটবল আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এক সূতোয় গাঁথা। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে অর্জনটা আকাশচুম্বী। অসংখ্য রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। অবিরাম ছুটে চলায় তার প্রাপ্তি অনেক। যখন যেখানে খেলেছেন, দিয়েছেন সামর্থ্যের ষোল আনাই। তাকে দলে ভেড়াতে তাই ক্লাবগুলোর উৎসাহের কমতি নেই।

বর্তমানে রোনালদোর ঠিকানা ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস। এর আগে দীর্ঘদিন ছিলেন লা-লিগা জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক্যারিয়ারের সোনালি সময়টা রিয়ালেই দিয়েছেন সি আর সেভেন। এর পেছনে যুক্তিও আছে। মিলিয়ন ডলার খরচ করে রিয়ালের প্রাপ্তিও কম না। মাদ্রিদের ক্লাবটিকে একাধিক শিরোপার স্বাদ এনে দিয়েছেন এই ফুটবলার।

তবে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পরই সবচেয়ে খারাপ সময় দেখতো হলো রোনালদোকে। টানা দুইটি ফাইনাল হারের সাক্ষী হলেন জুভেন্টাস তারকা। এর শুরুটা হয়েছিল লাৎসিওর কাছে সুপার কোপায় হেরে। আর গতকাল কোপা ইতালিয়ায় নাপোলির কাছে ধরাশায়ী। তাতেই বাজে সময়ের ষোলকলার মুখোমুখি এ তারকা ফুটবলার।

পুরো ৯০ মিনিট গোলশূন্য ছিল। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলেছে বারবার। ফাইনালের পুরো রসদই ছিল ম্যাচটাতে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ম্যাচ গড়িয়েছে ট্রাইবেকারে। তাতেই ২-৪ গোলে হার জুভেন্টাসের। দুইটি পেনাল্টি শুটআউট মিস করেছে রানার্সআপরা। একটি আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার পাবলো দিবালা অন্যটি দানিলো। তাই শেষ শটটা নেয়ার সুযোগ হয়নি রোনালদোর। তার আগেই টানা দুই হারের ক্ষত নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

অবশ্য এ হারে পর্তুগিজ ফুটবলারের দিকেও আঙুল উঠেছে। এদিন নিজের স্বভাবসুলভ ফুটবল খেলতে পারেননি রোনালদো। ছিল ক্ষিপ্রতার স্পষ্ট অভাব। যা দলকে কিছুটা হলেও ভুগিয়েছে। জুভেন্টাসের কোচ মাউরিজিও সারিও বলছেন সে কথাই, ‘পাওলা দিবালা, ডগলাস কস্তাদের মতোই ফিটনেসে আছে সে। রোনালদোর ক্ষিপ্রতার অভাব ছিল, যেটা সে খুব ভালো পারে।’