লিবিয়া ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু বলেছেন, লিবিয়া ইস্যুতে তার দেশ শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ শুরু করবে। সম্প্রতি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তাতে সাড়া দিয়েছেন ট্রাম্প।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান (বামে) ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে)

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লিবিয়ায় পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ করতে মার্কিনিদের সঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, গোয়েনা সংস্থা একত্রে কাজ করবে। আমাদের এ বিষয়ে দিক-নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। মার্কিনিদের সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার এই পরিকল্পনা আমরা আরো সুদূরপ্রসারী করতে চাই।

লিবিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকোর্ড (জিএনএ) ও জেনারেল খলিফা হাফতারের বিরোধিতা চলে আসছে। জিএনএ-কে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক আর হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে আরব ও ইউরোপের কিছু রাষ্ট্র। দুই পক্ষই তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় সরকার গঠন করতে মরিয়া।

কূটনৈতিক পর্যায়ে তুরস্ক ও লিবিয়ার বৈঠক

কিছুদিন আগে জিএনএ-কে সমর্থন দেয় তুরস্ক। এর পরই জিএনএ বিরোধী পক্ষ জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) ওপর সশস্ত্র অভিযান চালায়। তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তের কারণেই লিবিয়ায় পুনরায় সহিংসতা বেড়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এলএনএ’র নিয়ন্ত্রণে থাকা লিবিয়ার মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির সরকার সমর্থিত সেনাবাহিনী। সে অভিযানে তারা সিরতে ও আল-জাফরার মতো বিখ্যাত ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে।