বিগ ম্যাচে কেউ জিতল না

এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া টটেনহাম হটস্পারের। তাও আবার শেষ সময়ের পেনাল্টি গোলে। হোসে মরিনহোর হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। হতাশাটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এবারো জয় না পাওয়াটা। শুক্রবার রাতে হোয়াইট হার্ট লেনে জায়ান্ট দুই দলের লড়াইটা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকল।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই ড্রয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে এই ড্র রেড ডেভিলস কোচ ওলে গানার সুলশারের কাছে জয়তুল্য। নরওয়েজান কোচের খুশি না হওয়ার কোনো ‍কারণ নেই। সুলশার আরো খুশি যে, শিষ্যরা টানা ৩০ ম্যাচে গোল করেছে।

সুলশার যতটা খুশি, ততটাই হতাশ মরিনহো। টানা সাত ম্যাচ পেরিয়ে গেলেও জয়ের মুখ দেখছে না তার দল। ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর এটাই সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স টটেনহামের। মরিনহোর-ও বটে। সাবেক কোনো ক্লাবের বিরুদ্ধে টানা ছয় ম্যাচ জয় দেখলেন না তিনি। এমন বাজে পারফরম্যান্স তার ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম!

ঘরের মাঠে টটেনহাম লিড পেয়েছে স্টিভেন বার্গউইন্সের গোলে। তার বুলেট গতির শটটা আগুনের গোলা হয়ে ঢুকে যায় ম্যানইউর জালে। গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার হাতে লেগে বল খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। গোলটার দায়ভার তার ওপরই বর্তালো। পরে অবশ্য দারুণ পারফর্ম করে কিছুটা হলেও প্রায়শ্চিত্ত করেছেন স্প্যানিশ শেষ প্রহরী।

ম্যানইউ টটেনহামকে গোলটার শোধ দিয়েছে ৮১ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। গোলটার নেপথ্য নায়ক ইনজুরি কাটিয়ে ছয় মাস পর মাঠে ফেরা পল পগবা। ডি-বক্সে তাকে ফেলে দেন টটেনহাম ডিফেন্ডার এরিক ডিয়ের। ম্যাচ শেষে রেফারির এই পেনাল্টি সিদ্ধান্ত নিয়ে চটেছেন স্পার্স কোচ মরিনহো।

স্বভাবসুভল মজার ভঙ্গিতেই রেফারিকে একহাত নিয়েছেন পর্তুগিজ কোচ। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় (পেনাল্টি সিদ্ধান্তের জন্য) ভালো একটা শব্দ খুঁজতে হবে। আমি বলব এটা অদ্ভুত একটা পেনাল্টি। কারণ ওরা (ম্যানইউ) এটার জন্য ওঁত পেতে ছিল এবং সংঘবদ্ধ ছিল। শেষ ১৫ মিনিট আমাদের জন্য কঠিন ছিল। ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম।’