এ বছর সাদা পোশাক জড়ানো হচ্ছে না বাংলাদেশের!

অভিযোগটা অনেক পুরোনোই ছিল। সারাবছর জুড়ে খুব কম টেস্ট ই পায় বাংলাদেশ। কথাটা ভালোভাবেই আমলে নিয়েছিল আইসিসি। সবকিছু মিলিয়ে এ বছর বাংলাদেশের জন্য রেখেছিল ১০টি পাঁচদিনের ম্যাচ। এর আগে সংখ্যাটা ছিল ৯ এ। কিন্তু তাতে লাভ হলো কী! ২০২০ সালে মোট দুটি টেস্ট খেলেছে লাল-সবুজের দল। আর ওই পর্যন্তই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাদের। কারণ এ বছর আর টেস্ট খেলা হবে না মোমিনুল, মুশফিকদের।

বাংলাদেশ টেস্ট দল

এপ্রিলে পাকিস্তান গিয়ে একটি টেস্ট খেলার কথা ছিল। তা হয়নি করোনার উৎপাতে। শুধু ওই সফরই না, একই কারণে বাতিল হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরও। জুনে দুই টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসার কথা ছিল স্টিভ স্মিথদের। কিন্তু সেটা স্থগিত হয়েছে দুই মাস আগেই। আর গতকাল বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে, আগস্টে আসবে না নিউজিল্যান্ডও। কিউইদের সাথেও হওয়ার কথা ছিল সমান সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ।

এখন শুধু বাকি আছে শ্রীলংকা সিরিজ। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানো হলেও, দিন-দিন যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ধরেই নেয়া যায় যে, এবার লংকা সফরও হচ্ছে না। তাই ধরেই নেয়া যায়, ২০২১ এর আগে আর গায়ে সাদা পোশাক চাপাতে পারছে না বাংলাদেশ দল।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র না বাড়লে আর হওয়ার সম্ভাবনা নেই স্থগিত হওয়া টেস্টগুলো।এ জন্য আইসিসির ওপরই ভরসা রাখছেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্র আর না বাড়ালে স্থগিত হয়ে যাওয়া সূচি পুনর্বিন্যাস করা সম্ভব হবে না। আইসিসি কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটির ওপর নির্ভর করবে এসব টেস্টের ভাগ্য। যদি চক্র বাড়ে, তাহলে আমরা সময় বের করে নেব।

তবে বিষয়টাকে বাস্তবতার নিরিখে দেখছেন টেস্ট দলপতি মোমিনুল হক সৌরভ। মনে করছেন, খেলার চাইতে জীবনের মূল্য বেশি, 'এ বছর বাঁচা-মরার চ্যালেঞ্জটাই সবার আগে। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। এখন মনোবল শক্ত ও ফিটনেস ঠিক রাখা জরুরি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে টেস্টগুলো ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই হবে।

যখন আবার শুরু হবে, তখন হয়তো বিরতি কম পাওয়া যাবে। তখন যেন চোটে না পড়ি, ভালো খেলতে পারি, সেই লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি রাখতে হবে,’ বলেন টেস্ট অধিনায়ক।