আপনি পড়ছেন

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার মোকাবেলায় এবার ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাস। আজ শনিবার সকাল থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে।

chittagong university shuttle trainচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)- ফাইল ছবি

শনিবার চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি চবি উপাচার্যের দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ ক্যাম্পাসের ১৩ জন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় ভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলায় গতকাল শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে বসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। সেই বৈঠকে আজ শনিবার থেকে আগামী ১৪ দিনের জন্য পুরো ক্যাম্পাস লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আরো বলা হয়, লকডাউন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, প্রশাসনিক ভবন, বিভাগ-ইনস্টিটিউটের অফিসগুলো বন্ধ থাকবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাত প্রদানসহ জরুরি প্রশাসনিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পরিচালিত হবে।

chittagong university campusচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)- ফাইল ছবি

এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের থাকার আবাসিক এলাকা শোভা কলোনীতে বেশ কয়েকজনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর কলোনীটি লকডাউন করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে দেখা যায়, ওই কলোনী ছাড়াও পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ জন। এছাড়া নগরীতে বসবাসরত উপাচার্যের দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও সম্প্রতি প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় সংক্রমণের বিস্তার রোধে সবকিছু বিবেচনা করে পুরো ক্যাম্পাস লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

লকডাউন চালাকালীন কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ বা বের হতে পারবে না। নিতান্তই জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাস থেকে বের হতে বা প্রবেশ করে প্রক্টর অফিসের অনুমতির নিতে হবে। ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত মুদি ও ফার্মাসি দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে। মুদি ও ফার্মাসিও খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ বিষয়ে সকলকে অবহিত করতে আজ সকাল থেকে পুরো ক্যাম্পাসে মাইকিং করা হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসরে বিস্তার মোকাবেলায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ২১ দিনের জন্য রাজধানীর ওয়ারী এলাকা লকডাউন করেছে সরকার। ওয়ারীর আটটি এলাকা বা গলি এই লকডাউনের আওতায় থাকবে। সেগুলো হলো- টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন), লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র‌্যাংকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট।