আপনি পড়ছেন

কুয়েতই বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র রাষ্ট্র যার ৪৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ লাখই অভিবাসী। দেশটির শ্রমবাজারে কুয়েতের কোনো নাগরিক নেই বললেই চলে। এসব অসঙ্গতি দূর করার উদ্যোগ দিয়েছে তারা। অভিবাসীদের সঙ্গে নিজ দেশের নাগরিকের সংখ্যার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সংসদে একটি আইন উত্থাপন করা হয়েছে। সেখানে নির্ধারণ করা হয়েছে, নিজেদের নাগরিকের তুলনায় কোন দেশের কত শতাংশ অভিবাসী কুয়েতে থাকতে পারবেন।

bangladehi workers

ওই আইনে বাংলাদেশিদের জন্য ৩ ভাগ কোটার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমিককে ফেরতে আসতে হবে বাংলাদেশে। বর্তমানে সেখানে ৩ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম বলেন, কুয়েতের এমন সিদ্ধান্তে আমি বিস্মিত হয়েছি। কারণ এত শ্রমিক পাঠিয়ে দিলে তাদের দেশই বন্ধ হয়ে যাবার জোগাড় হবে! কুয়েতিরা সাধারণত পরিশ্রম করতে চায় না। দুই-একটি জায়গায় তাদের নাগরিকরা থাকলেও তা ব্যতিক্রম। দেশটির শ্রমবাজারে বাকি সব হলো বিদেশী, বিশেষ করে বাংলাদেশের শ্রমিকরা। এ অবস্থায় আড়াই লাখ লোককে পাঠিয়ে দিলে তো তাদের দেশ অচল হয়ে যাবে!

abul kalam azad kwetকুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম

তিনি আরো বলেন, জনসংখ্যায় ভারসাম্য আনার এই আইনটি এখনো পাশ হয়নি। এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে তারা নিজেরাই বিপদে পড়ে যাবে। তাছাড়া কী পরিমান অভিবাসী তাদের দরকার, সেটাও তারা পরিষ্কার করছে না। মূলত নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার কারণে কট্টরপন্থী বিরোধীদের চাপে এমন আইন উত্থাপন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এটি পাশ হবে না বলে আমার বিশ্বাস, কিংবা হলেও আইনটিতে আমূল সংস্কার করতে হবে।