আপনি পড়ছেন

করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ইতালি গিয়েছিলেন বাংলাদেশের যাত্রীরা, তবে সেখানে নামার পর তাদের মধ্যে কারো কারো নমুনার ফল পজিটিভ আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইতালি সরকার বিমানবন্দর থেকেই সেই ফ্লাইট বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এমন ঘটনার পর সেখানকার কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি বিরূপ আচরণের শিকার হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত বললেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইতালির সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত হয়েছে।

italy ambassadorইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার

ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইতালির সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো উন্নত হয়েছে। যাত্রী ফেরত পাঠানোর ঘটনায় এই সম্পর্কে কোনো চিড় ধরেনি। বাংলাদেশিরা বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন, এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতালির নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের সম্পর্ক অনেক সৌহার্দ্যপূর্ণ।

এদিকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে আস্থাহীনতার জেরে ইতালি সরকার সব বাংলাদেশিকে করোনা পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কিংবা সম্প্রতি যারা ইতালিতে প্রবেশ করেছেন শুধু তারাই নন, আগে থেকে যারা আছেন তাদেরকেও নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। এমন ঢালাও নির্দেশনায় বিপাকে পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তবে তারা এও বলছেন, নিজেদের দোষেই আজকে আমরা নমুনা পরীক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছি।

global update 11april

ইতালির অনেক নাগরিকের ধারণা, তাদের দেশে করোনার সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে তার জন্য বাংলাদেশিরা দায়ী। দেশটির ফ্রিউলি ভেনেজিয়ে জুলিয়া প্রদেশে বসবাস করা বাংলাদেশি আইরিন পারভীন খান বলেন, করোনার শুরুর দিকে চীনাদের সঙ্গে ইতালিয়ানরা যে আচরণ করতো এখন বাংলাদেশিদের সঙ্গে তাই করা হচ্ছে। করোনার ভুয়া সার্টিফিকেটের ঘটনার পর আমার পরিচিত অনেকে শপিং করতে গিয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন।