দেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

টানা বৃষ্টিতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এই মুহূর্তে এসব অঞ্চলের ১৭টি নদীর ২৮টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কবলে পড়েছে ২০টি জেলা। বর্তমানে এসব জেলায় প্রায় সোয়া ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

মঙ্গলবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আজ ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি ৩৬-২৬ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৫১-৪২ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার, যমুনা নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার, কাজিপুর পয়েন্টে ৭৪ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, আরিচা পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ১০০ সেন্টিমিটার, গূড় নদীর সিংড়া পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর জাগির পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার, এলাসিন পয়েন্টে ১০৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর জামালপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, লাক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, কালিগঙ্গা নদীর তারাঘাট পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার, পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১০৫ সেন্টিমিটার, ভাগ্যকুল পয়েন্ট ৭২ সেন্টিমিটার, মাওয়া পয়েন্টে ৬৫-৬৬ সেন্টিমিটার এবং সুরেশ্বর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, সুরমা ছাড়া সব নদীর পানি এখনো স্থিতিশীল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অবস্থা আরো স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। ওই সময়ে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা ও তিস্তা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলো এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি অববাহিকার নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।