‘স্বাস্থ্যের ডিজির পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি’

দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম প্রকাশ পেতে থাকে। এ নিয়ে সাধারণ জনগণসহ নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করা হয়। এমনই প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলছেন, তার পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আজ বুধবার শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে জানিয়ে দেয়া হবে।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ওইদিন তিনি বিকেল ৫টায় অফিস থেকে চলে আসার পর পদত্যাগপত্র দিয়ে থাকতে পারেন ডিজি। তাছাড়া তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের মালিক তিনি নন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তার পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

শেখ ইউসুফ হারুন

এদিকে, জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরের এক কর্মকর্তা আজ বুধবার জানান, জনপ্রশাসন সচিব বাসা থেকে একটি অনলাইন বৈঠকে আছেন। তিনি অফিসে এলে পদত্যাগপত্রের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, নিয়মানুসারে ডিজির পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ প্রথম দফায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অবসর-উত্তর ছুটিতে যান আবুল কালাম আজাদ। পরে তার অবসর-উত্তর ছুটি বাতিল করে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী আগামী বছরের এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (প্রশাসন) দায়িত্বে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।