তথ্যমন্ত্রী: বন্যা নিয়ে জাতিসংঘের পূর্বাভাসের দরকার নেই

বন্যাকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা বাংলাদেশের মানুষ জানে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বন্যা নিয়েই বসবাস করে। তাই তারা জানে কীভাবে বন্যা মোকাবেলা করতে হয়। কারণ বন্যা এই দেশের মানুষের নিত্যসঙ্গী। যারা বন্যার সঙ্গে পরিচিত নয়, তাদের জন্য জাতিসংঘের পূর্বাভাসের দরকার আছে। বাংলাদেশের জন্য সেটির দরকার নেই।

বন্যা পূর্ভাবাস নিয়ে জাতিসংঘের সতর্কের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বন্যার সঙ্গে বসবাস করি। তাই কীভাবে বন্যা মোকাবেলা করতে হয় সেটাও জানি। বরং আমাদের কাছ থেকে এখন অনেকেই কীভাবে বন্যা মোকাবেলা করতে হয় তা শিখতে পারে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে, এ বছর বাংলাদেশের বন্যা ১৯৮৮ সালের পর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এতে মানুষ যেমন দুর্ভোগে পড়বে তেমনি অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হবে বলে জানায় তারা। সেইসঙ্গে বন্যা মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতার কথাও জানানো হয়। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, তিনি প্রতিনিয়তই একই ধরনের কথা বলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি একই বাঁশি বাজাচ্ছেন। তার ঢোলের আওয়াজও একই। ফখরুল সাহেবরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তারা কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারেননি। সে ব্যর্থতা আমরা দেখেছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, করোনায় মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে কয়টি দেশে কম তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি ভারত-পাকিস্তানের থেকেও বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণের কারণেই এমন সফলতা সম্ভব হয়েছে।

এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আলিপুর রহমানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ কাজে সহায়তা করছে ভারতীয় হাইকমিশন। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস, চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ অন্য কর্মকর্তারা।