রাষ্ট্রপতির কৃতজ্ঞতা

গত ১৭ জুলাই নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও তার একান্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবদুল হাই। এরপর গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে জানাজা শেষ তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সে সময় যারা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন এবং কষ্ট করে মরহুমের জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ- ফাইল ছবি

আজ শুক্রবার এক বার্তায় এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বার্তায় ছোট ভাইয়ের মৃত্যুতে পাশে থেকে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জানানোর জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোভিন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বাংলাদেশের প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ডা. শিরিন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

এছাড়া সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুধীজনসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ যারা শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন এবং শোকের সময় পাশে থেকে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জানিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার ছোট ভাই মো. আবদুল হাই- ফাইল ছবি

বর্ষা মৌসুমের বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেও যারা বহু দূরের জায়গা থেকে এসে মিঠামইন সদরে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজায় অংশ নিয়েছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানিয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বে প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, এসএসএফ, পিজিআর, পুলিশ বাহিনী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংস্থার সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ যারা নিজি নিজ অবস্থানে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

বার্তায় রাষ্ট্রপতি আশা করেন, শোকের সময় শুভানুধ্যায়ীরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি যে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তা তাদের মনে সাহস যোগাবে এবং ভবিষ্যতে চলার পথ সুগম করবে। তিনি সবার কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া কামনা করেন।

গত ২ জুলাই অধ্যাপক মো. আবদুল হাইয়ের করোনাভাইসার শনাক্ত হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ জুলাই তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ জুলাই দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের মিঠামাইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে মুক্তিযাদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ মাঠে প্রথম দফা ও নিজ বাড়ির প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।