৪ সেকেন্ডে শেষ ১১০০ টিকেট!

করোনার মহামারির কারণে দীর্ঘ ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে চলছে যাত্রীবাহী ট্রেন। দুই দফায় ১৯টি ট্রেন চালু করা হলেও যাত্রী সংকটের কারণে দুটি ট্রেন বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ বর্তমানে চলছে ১৭টি ট্রেন। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চললেও যাত্রী যেন সোনার হরিণ ছিল। কিন্তু আজ শনিবার সকালে সেই চিত্র পুরো উল্টো যায়।

ঈদে ট্রেনের টিকেট অনলাইনে

জানা যায়, আগামী ১ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ সকাল ৬টায় অনলাইনে টিকেট ছাড়া হয়। কিন্তু কী আশ্চার্য, মাত্র ৪ সেকেন্ডে শেষ হয় প্রায় ১১০০ টিকেট। মাত্র ন্যানো সেকেন্ডের ব্যবধানে অনেকেই টিকেট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা রেলের টিকেট নিয়ে নয়-ছয় হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। তবে রেল কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকাল ৬টায় আগামী বুধবারের টিকেট দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র প্রথম ৪ সেকেন্ডে ১ হাজার ৯৫টি টিকিট বিক্রি হয়। আর ৬টা ২ মিনিটে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এই রুটে চলছে দুটি ট্রেন। সকাল সোয়া ৬টা পর্যন্ত সিলেটগামী ছাড়া আর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আর কোনো ট্রেনেই আসন ফাঁকা ছিল না। তবে দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকামুখী ট্রেনের আসন ফাঁকা ছিল।

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট, ফাইল ছবি

মাত্র ন্যানো সেকেন্ডের ব্যবধানে অনেকে পাননি রেলের টিকেট। এ নিয়ে অনেকেই রেল সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি অনেকে ট্রেনের টিকেটে কারসাজি চলছে বলেও অভিযোগ করেন।

তবে টিকেট বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ঈদের কারণে টিকেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। ন্যানো সেকেন্ড পিছিয়ে পড়লে টিকেট পাওয়া যায় না।

রেলের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঠিক সকাল ৬টায় টিকেট দেওয়া শুরু হয়। ৫০১টি টিকেট প্রথম সেকেন্ডেই শেষ হয়ে যায়। এর পর দ্বিতীয় সেকেন্ডে ২২২টি এবং তৃতীয় ও চতুর্থ সেকেন্ডে ৩৭২টি টিকেট বিক্রি হয়।

তিনি আরো জানান, সকাল ৮টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত বিক্রি হয় ৪ হাজার ২২৬টি টিকেট। আর ১০টা ৫২ মিনিটে সব তথা ৫ হাজার ১৪৪টি টিকেট বিক্রি শেষ হয়।

টিকেট না পাওয়া যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে মাহবুব কবির বলেন, ঘড়ির কাঁটা যখন ঠিক ৬টা তখন হাজার হাজার ইউজার রেলের অনলাইনে প্রবেশ করে। যারা ন্যানো সেকেন্ড পিছিয়ে পড়েছেন তারা টিকেট পাননি। এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এখানে কর্তৃপক্ষের করণীয় কিছুই নেই।