সীমান্তে আড়াই হাজার নাগরিককে ঢুকতে দিচ্ছে না ভারত

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক মাস ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়ে আছেন। তাদেরকে ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে তারা এখন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে, স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বিশেষ পারিবারিক প্রয়োজন এবং অসুস্থতার কারণ ছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে কাউকেই ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তাই এসব ভারতীয় নাগরিকরা আপাতত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে, স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেক নারীও আছেন।

এর আগে অবশ্য বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের আকাশপথে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ যোগাড় করতে না পারায় তখন সুযোগটি মিস করেন তারা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আটকে পড়া ব্যক্তিরা মূলত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তারা বাংলাদেশে কাজ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের বেনাপোল এবং বাংলাবান্ধা সীমান্ত দুটিতে এমন প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়ে আছেন।

এ বিষয়ে বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, নিয়মিত এসব আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকরা তার কাছে আসছেন কিংবা ফোন করছেন। কিন্তু ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের গ্রহণ করছে না। কেনো তাদের ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, সে কারণও স্পষ্ট নয়।

গত ২৪ মে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, বিমানের মাধ্যমে দেশে ফেরা নাগরিকদের নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। আর স্থল-সীমান্ত দিয়ে যারা আসবেন, তাদেরও একই প্রোটোকল মেনে আসতে হবে। তারপরও এই মানুষগুলোকে ভারতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে আটকে থাকার ফলে তাদের আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তারা এখন স্থানীয়ভাবেই কিছু খাবার-দাবার যোগাড় করে খাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চালাতে পারবেন তা অনেকেই জানেন না।