তুরস্কের বিরুদ্ধে লিবিয়ায় বিভিন্ন দেশের মার্সেনারি পাঠানোর অভিযোগ

লিবিয়ায় চলমান সহিংসতায় তুরস্ক শুধু সিরিয়া থেকেই নয়, বরং বিভিন্ন দেশের মানুষকে ভাড়া করে আনছে। এমন অভিযোগ করেছেন বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র খালেদ আল-মাহজুব।

লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র খালেদ আল-মাহজুব

তিনি বলেন, লিবিয়ার সম্পদ রক্ষায় এলএনএ কাজ করে যাচ্ছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলে ভূগর্ভস্ত তেলের ৬০ শতাংশ মজুদ আছে। তুরস্ক, কাতার ও মুসলিম ব্রাদারহুডের ওই তেলের ওপরই নজর পড়েছে।

আল আরাবিয়ার বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি সোমালিয়ান এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিবিয়ায় গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একোর্ডের (জিএনএ) সমর্থনে হাজারো সোমালিয়ান যুবককে ভাড়া করছে তুরস্ক। তারা সেখানে সম্মুখ সহিংসতায় অংশ নেবে।

এছাড়া সিরিয়া থেকেও অগণিত সেনাকে ভাড়া করেছে তুরস্ক। এদের সবাইকে এলএনএ’র বিরুদ্ধে লিবিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে।

জিএনএ'র সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনী

২০১১ সালে সাবেক লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পরই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে দীর্ঘদিন এলএনএ ও জিএনএ লড়াই ও সংগ্রাম করে আসছে। উভয় পক্ষকেই সমর্থন করছে আশপাশের রাষ্ট্রগুলো।

তুরস্ক সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার  জিএনএ সরকারকে। তাদের সঙ্গে কাতারের সমর্থনও আছে। অন্যদিকে এলএনএ-কে সমর্থন দিচ্ছে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। আবার রাশিয়া ও ফ্রান্সেরও সমর্থন রয়েছে।

মিশরের সীমান্ত ঘেঁষা সিরতে শহরের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে এলএনএ ও জিএনএ’র বিরোধ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। শহরটি বর্তমানে এলএনএ’র দখলে আছে। সেখানে অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে জিএনএ।

এই অভিযান হলে সেখানে সরাসরি সেনা হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল আল-সিসি। অন্যদিকে, তুরস্ক থেকে ঘোষণা এসেছে, তারা কোনোভাবেই সিরতে অভিমুখে অভিযান বন্ধ করবে না।