পাকিস্তানের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাশ্মিরি নেতা

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকে নিশান-ই-পাকিস্তান অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে ইমরান খানের সরকার। এটি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মান। মঙ্গলবার গিলানিকে ওই সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইসলামাবাদ।

সৈয়দ আলি শাহ গিলানি

অল ইন্ডিয়া হুরিয়ত কনফারেন্সের প্রধান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। ১৯৯০ সাল থেকে কাশ্মিরের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে দলটি। কিন্তু বছরের আগস্ট মাসে ভারতের বর্তমান মোদি সরকার যখন জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের মর্যাদা বাতিলের লক্ষে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয়, তখন তাকে গৃহবন্দী করা হয়। তিনি ছাড়াও ওই সময় কাশ্মিরের শত শত রাজনীতিককে হয় গৃহবন্দী না হয় কারাগারে বন্দি করা হয়।

তবে কাশ্মিরের এই প্রবীণ নেতাকে পাকিস্তানের পুরস্কৃত করার বিষয়টিকে ‘ভারত বিরোধিতার পুরস্কার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দেশটি যখন সংবিধানের বিশেষ ধারা (৩৭০) বাতিলের বর্ষপূতি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন পাকিস্তান ওই কাশ্মিরি নেতাকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করলো। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ওই ধারাটি বাতিল করা হয়। ফলে রাজ্যের মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মির। বর্তমানে রাজ্যটিকে জম্মু ও কাশ্মির নামে দুটি আলাদা প্রশাসনিক এলাকায় ভাগ করা হয়েছে।

বক্তব্য দিচ্ছেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি

গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলছে, আগামী ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি হচ্ছে। এ ছাড়া ওইদিনই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের সেই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হবে। আর পাকিস্তান সেদিন কাশ্মিরিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কালো দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসবের পেছনে কাজ করছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। সংস্থাটির প্রত্যক্ষ মদতে বিশ্বব্যাপী ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে তুলে ধরার পরিকল্পনা চলছে। এরই অংশ হিসেবে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী নেতা এবং এর পক্ষে থাকা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সম্মান জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।