আপনি পড়ছেন

কুয়েত সরকার আবারো বাংলাদেশসহ ৩১টি দেশের নাগরিকদের সেদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গতকাল শনিবার দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকাল তথা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। কুয়েতের বেসামরিক বিমান পরিবহন অধিপ্তরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

kuwait international airportকুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ ৩১টি দেশকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করার পরই এমন নির্দেশনা দিলো কুয়েত সরকার। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো- চীন, ব্রাজিল, ভারত, ইরান, কলম্বিয়া, আর্মেনিয়া, সিঙ্গাপুর, বসনিয়া, ফিলিপিন্স, সিরিয়া, স্পেন, হার্জগোভিনা, শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তান, মিশর, লেবানন, ইরাক, ম্যাক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, চিলি, হংকং, ইতালি, পেরু, সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, মালদোভা, পানামা, ডোমেনিয়ান রিপাবলিক এবং কসোভো।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্য দেশ থেকে ভ্রমণের আগে ১৪ দিনের মধ্যে যেসব যাত্রী ওই ৩১টি দেশে ছিলেন, তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। আর অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

bangladesh ambassy kuwaitকুয়েতে বাংলাদেশি দূতাবাস

যে দেশের ওপর এই মুহূর্তে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নেই, সেই সব দেশে একটানা ১৪ দিন কাটিয়ে কুয়েতে যেতে পারবেন বাংলাদেশসহ ৩১ দেশের নাগরিকেরা। দেশটির সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালক শনিবার বিবৃতির মাধ্যমে নতুন এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ৩০ জুলাই যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল সেটি বাতিল করে নতুন এই নিশেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তবে একটি উপায়ে বাংলাদেশি কিংবা উল্লিখিত ৩১টি দেশের নাগরিক কুয়েত যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যেসব দেশের ওপর কুয়েতের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নেই, সেসব দেশে একটানা ১৪ দিন অবস্থান করতে হবে। ১৪ দিন কাটানোর পর তার শরীরে যদি করোনাভাইরাসের কোনো উপস্থিতি শনাক্ত না হয়, তাহলে তিনি কুয়েতে যেতে পারবেন। কুয়েতের সিভিল এভিয়েশনের বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ, কোনো বাংলাদেশি এখন যদি কুয়েতে যেতে চান, তাহলে উল্লিখিত ৩১ দেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। তার পর নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেলেই তিনি দেশটিতে যেতে পারবেন।