রুশ-বেলারুশ সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা

সম্প্রতি রাশিয়ার ৩৩ নাগরিককে আটক করেছে বেলারুশ। এর ব্যাখ্যা চেয়ে রাশিয়ায় নিযুক্ত বেলারুশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে মস্কো। বেলারুশ সরকার বলছে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছিল ওইসব রুশ নাগরিক। আর রাশিয়া বলছে, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাদের নাগরিকদের আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে মস্কো ও মিনস্কের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো এবং ভ্লাদিমির পুতিন

জানা যায়, সম্প্রতি বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের পার্শ্ববর্তী একটি বিনোদনকেন্দ্র থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ওই রুশ নাগরিকদের আটক করে। রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক কোম্পানি ওয়াগনারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করছে বেলারুশ।

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ অভিযোগ করেছে যে, আটক রুশ নাগরিকরা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সেদেশে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। আগামী ৯ আগস্ট বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

দিমিত্রি পেসকভ

তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ার ৩৩ নাগরিককে ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্কের সঙ্গে মানায় না।

গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আটক রুশ নাগরিকদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান। তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইরানি গণমাধ্যম পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলারুশের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ভিক্তোর বাবারিকো। আদালতে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, এবারের নির্বাচনের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ভ্যালেরি তেসেপকালো। সম্প্রতি তিনি রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। দেশটিতে আশ্রয় নেওযার বিষয়ে তিনি বলেছেন, গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি যখন নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারাভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

বেলারুশের বর্তমান প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, নির্বাচনে তাকে হারাতে রাশিয়া বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বেলারুশের ক্ষমতায় ১৯৯৪ সাল থেকে আছেন লুকাশেঙ্কো।