অন্য পেশায় যুক্ত হতে ‘অনুমতি’ লাগবে শিক্ষকদের

অনুমতি ছাড়া কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে (ব্যক্তিগত ব্যবসা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান) যুক্ত হতে পারবেন না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তারা। আজ রোববার শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি দেশের ৪৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

অন্য পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না শিক্ষকরা

সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালন করতে হবে। সে অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা কোনো ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারবেন না।

অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের মধ্যে কেউ কেউ চাকরিবিধি অমান্য করে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থে চাকরিবিধির যথাযথ প্রয়োগ, অনুসরণ ও প্রতিপালনের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য উপাচার্যদের অনুরোধ জানিয়েছে ইউজিসি।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে প্রতি অর্থবছরে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করে থাকে কমিশন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাদ্দকৃত অর্থের সাহায্যে গবেষণা প্রকল্প আহ্বান এবং সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত প্রকল্পের অনুকূলে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে।

‘কিন্তু গবেষণা খাতের অর্থ গবেষণা কার্যক্রমে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এর ব্যত্যয় ঘটছে। যা কমিশনের নিকট পরিদৃষ্ট হয়েছে। তাই বরাদ্দকৃত অর্থ শুধু নির্বাচিত গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রমে ব্যয়ের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য উপাচার্যদের অনুরোধ করা হলো।’