আপনি পড়ছেন

নারীর সৌন্দর্য চর্চায় জনপ্রিয় একটি প্রসাধনী নেইলপলিশ। যা এমন একটি রং, যা নখে লেপটে থাকে। নেইলপলিশ লাগানো জায়গায় পানি পৌঁছে না। যে কারণে মুসলিম আইনবিদরা বলেন, এ ধরনের পলিশ লাগিয়ে অজু করলে অজু হয় না। কারণ হিসেবে তারা বলেন, অজুর জন্য শর্ত হলো, অজুর অঙ্গগুলোতে পানি লাগতে হবে। অথচ নেইলপলিশের নিচে পানি পৌঁছে না।

nail

তাই কোনো কারণে নেইলপলিশ দিতেই হলে নামাজের আগেই তা তুলে ফেলে অজু করে নিতে হবে। 

একই কথা গোসলের বেলায়ও প্রযোজ্য। অর্থাৎ, নেইলপলিশ লাগিয়ে ফরজ গোসল করলে সে গোসল আদায় হবে না। নেইলপলিশ তুলে তবে গোসল করতে হবে। যেহেতু এক ওয়াক্ত নামাজ থেকে আরেক ওয়াক্ত নামাজের সময় খুব একটা বেশি না, তাই নেইলপলিশ লাগিয়ে তা আবার তুলে ফেলাটাকে অনেক নারী ঝামেলা মনে করেন।

যে কারণে দেখা যায়, নেইলপলিশ আছে- এই অজুহাতে তারা নামাজ ছেড়ে দেন। এ কারণে ফকিহরা নেইলপলিশ ব্যবহারকে শরিয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয় মনে করেন।

পারিবারিক কিংবা নারীমহলের কোনো অনুষ্ঠানে নারীরা সৌন্দর্য চর্চার অংশ হিসেবে নেইলপলিশ ব্যবহার করলে এবং নামাজের আগে রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলে নামাজ আদায় করতে পারলে নেইলপলিশ ব্যবহার করা যেতে পারে, ফকিহরা এমনটাই মত দিয়েছেন।

nail2

নেইলপলিশ দেয়া নারীর যেহেতু গোসল কিংবা অজু কিছুই শুদ্ধ হয় না, তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় এ অবস্থায় কোনো নারী মারা গেলে, কোনো পুরুষও যদি ঘটনাক্রমে নেইলপলিশ দেয়া অবস্থায় মারা যায়, তাহলে শুদ্ধভাবে গোসল করানোর জন্য কী করণীয়?

এ প্রশ্নের জবাবে শরিয়ত বিশেষজ্ঞরা বলেন, রিমুভার দিয়ে নেইলপলিশ তুলে ফেলতে হবে। যদি না তোলা হয় তাহলে গোসল হবে না।

তবে মেহেদি ব্যবহারের ফলে জীবিত কিংবা মৃত নারী-পুরুষ কারোই অজু-গোসলের কোনো ধরনের ক্ষতি হয় না। মেহেদিও একটি রং, কিন্তু নেইলপলিমের মত তা কোনো প্রলেপ বা শক্ত স্তর তৈরি করে না। ফলে ওই অঙ্গগুলোতে পানি পৌঁছতে বাধা পায় না।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর