আপনি পড়ছেন

সাজগোজ করা নারীর স্বভাবজাত প্রবণতা। নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে সাজগোজ করাকে ইসলাম উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সৌন্দর্য চর্চার নামে বেলাল্লাপনা-অশ্লীলতার ছড়াছড়ি এবং নিজেকে আবেদনময়ী করে পরপুরুষের সামনে প্রকাশের প্রবণতা মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে।

makeup

দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের মুসলিম পরিবারের মেয়েরাও এ ধরনের কাজ বীরত্বের সঙ্গে করছে। অথচ সৌন্দর্য চর্চার বিষয়ে ইসলামের রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। আসুন জেনে নিই ইসলামের আলোকে সৌন্দর্য চর্চার ১০টি মৌলিক নীতি।

১. মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কোনো পুরুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে যে কোনো ধরনের বৈধ সৌন্দর্য চর্চা নারীর জন্য হরাম।

২. সৌন্দর্য চর্চার নামে অপচায় করা হারাম।

৩. এমন কোনো সৌন্দর্য চর্চা করা যাবে না, যাতে নারীকে দেখতে পুরুষের কাছাকাছি বা পুরুষের মত মনে হয়।

৪. এমন কোনো উপাদান বা মেকাপ ব্যবহার করা যাবে না, যা একজন নারীর মৌলিক সৌন্দের্যে সংযোজন বা বিয়োজন ঘটায়। যেমন- পরচুলা লাগানো অথবা ভ্রু তুলে ফেলা ইত্যাদি।

৫. ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয় এমন প্রসাধনীও ব্যবহার করা যাবে না।

nail

৬. নারীকে অতি আবেদনময়ী দেখানোর উদ্দেশ্য ব্যবহৃত প্রসাধনী ইসলাম স্বামী ছাড়া আর কারো সামনে ব্যবহারের অনুমতি দেয় না।

৭. ধর্মীয় এবং দেশীয় ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হয় অথবা বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটে এমন সৌন্দর্য চর্চা করাও নিষেধ।

৮. স্বামী পছন্দ করে না- এমন প্রসাধনী ব্যবহার করাও অনেক ফকিহর মতে ঠিক নয়।

৯. স্বামীর মনভোলাতে-চোখজুড়াতে সৌন্দর্য চর্চা করা নারীর জন্য অনেক বড় সওয়াবের কাজ।

১০. নারীরা নারীদের অঙ্গনে বৈধ সব ধরনের সৌন্দর্য চর্চা করতে পারবেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর