কাশ্মির থেকে ১০ হাজার সেনা সরাচ্ছে মোদি সরকার

সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মির উপত্যকায় বেশ কয়েক দফায় ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গেরিলাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া লাদাখে চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্তে পাকিস্তানও কড়া নজর রাখছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ করেই কাশ্মির থেকে ১০ হাজার আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ানকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

কাশ্মিরে ভারতীয় সেনারা

বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক ঘোষণায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। বলা হচ্ছে, কাশ্মির উপত্যকা এখন আগের চেয়েও অনেকটা স্বাভাবিক। সে কারণেই ১০ হাজার আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সঠিক কারণ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার আইন বাতিল করে দেয় মোদি সরকার। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর আগে থেকেই সেখানে বিপুল পরিমাণ সেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। অশান্তি এড়াতেই ওই পরিমাণ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে তখন কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছিল।

কাশ্মিরে ভারতীয় পুলিশ

একই সঙ্গে পুরো কাশ্মিরের আরো বেশ কিছু নাগরিক অধিকার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। সম্পূর্ণ উপত্যকায় কারফিউ জারি করা হয় এবং বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। গণমাধ্যমের ওপরও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। তবে গত কয়েক মাস যাবত ধীরে ধীরে আবার সবকিছু স্বাভাবিক করে দেয়া হচ্ছে। দুটি জেলায় ইতোমধ্যে ফোর-জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

এদিকে নানা মহলে প্র্রশ্ন উঠছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক সেনা কেনো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। অনেকে বলছেন, সরকার হয়তো আরো বড় কোনো পরিকল্পনা করছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসছে শীতে কাশ্মিরে সংঘাত আরো তীব্র হবে। এই মুহূর্তে কাশ্মির এবং লাদাখ সীমান্তে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি রয়েছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার কারণ নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।