টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড় শ বছরের ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে ৬০০ উইকেট নিয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসন। তবে বোলার হিসেবে এই এলিট ক্লাবের চতুর্থ সদস্য হলেন ইংলিশ পেসার। আজ সাউদ্যাম্পটনে পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলিকে আউট করে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যান অ্যান্ডারসন। রেকর্ড ও পরিসংখ্যানের আলোয় একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইংলিশ তারকার ক্যারিয়ার।

anderson celebrates taking his 600th test wicket

ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট নিয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসন। এর আগে দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ৫০০ উইকেটের গণ্ডি ছুঁয়েছিলেন ইংলিশ তারকা। প্রথম পেসার ছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালস।

টেস্টে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৫৬তম ম্যাচ খেলছেন অ্যান্ডারসন। ইংলিশদের হয়ে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন কেবল অ্যালিস্টার কুক। আর ছয়টি ম্যাচ খেললে সাবেক অধিনায়ককেও ছাড়িয়ে যাবেন অ্যান্ডারসন। ওয়ানডে ক্রিকেটেও ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি (২৬৯)।

ত্রিশ পেরুনোর পর ৮৫ ম্যাচে ৩৩২টি উইকেট নিয়েছেন। যা পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা। ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ওয়ালস ৩৪১টি শিকার করেছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৭বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং- সাত উইকেটে ৪২ রান।

৬০০ উইকেটের ১১০টিই ভারতের বিরুদ্ধে নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। যা ভারতীয়দের বিরুদ্ধে কোনো বোলারের সেরা সাফল্য। দক্ষিণ আফ্রিকা (৯৩), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৮৭), পাকিস্তান (৭৪) এবং শ্রীলঙ্কার (৫২) বিপক্ষেও সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার অ্যান্ডারসন।

ঘরের মাঠে ৮৯ টেস্ট খেলে ৩৮৪ উইকেট নিয়েছেন ইংলিশ পেসার। নিজেদের মাঠে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়াদের তালিকায় তার ওপর আছেন শুধু মুত্তিয়া মুরালিধরন। ঘরের মাঠে ৬৭ ম্যাচে ৪৯৩টি উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি।

লর্ডস স্টেডিয়ামেই ১০৩টি উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে উইকেটের সেঞ্চুরি নেই আর কোনো বোলারের। এ ছাড়া ট্রেন্ট ব্রিজ (৬৪), এজবাস্টন (৪৪), রোজবৌল (২৬) এবং চেস্টার লি স্ট্রিটেও (২৫) সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার অ্যান্ডারসন।

অস্ট্রেলিয়ার পিটার সিডলকে ১১বার আউট করেছেন ডানহাতি পেসার। টেস্ট ক্যারিয়ারে যা কোনো নির্দিষ্ট ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সফলতা। এ ছাড়া ১৯জন ব্যাটসম্যানকে অন্তত ছয়বার করে আউট করেছেন জিমি। শচীন টেন্ডুলকার, ডেভিড ওয়ার্নার এবং মাইকেল ক্লার্ককেই নয়বার আউট করেছেন তিনি। জ্যাক ক্যালিস, কুমার সাঙ্গাকারা, কেন উইলিয়ামসন তার শিকারে পরিণত হয়েছেন সাতবার করে। এ ছাড়া স্টিভ স্মিথ ও গ্রায়েম স্মিথ ছয়বার অ্যান্ডারসনের বলে আউট হন।

অ্যান্ডারসনের মুখোমুখি হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলেও আউট হননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান টম লাথাম (১৬৯ বল)। আরেকজন ব্যাটসম্যান গ্যারি কারস্টেনকে এক শরও বেশি করে আউট করতে পারেননি জিমি।

ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের ১৬৩বার আউট করেছেন অ্যান্ডরসন। ওপেনারদের উইকেট নেওয়াদের তালিকায় যা সর্বোচ্চ।

অ্যান্ডরসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড দীর্ঘদিনের বন্ধু। এই দুজন মিলে ১২০ টেস্ট খেলে ৯১৯ উইকেট নিয়েছেন। এই জুটির চেয়ে সফল আছে আরেকটা জুটি। অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা যৌথভাবে ১০৪ টেস্টে ১০০১টি শিকার করেছেন।

জেমস অ্যান্ডারসন (১৫৬* ম্যাচে ৬০০ উইকেট)

প্রথম উইকেট: মার্ক ভার্মেলান, ২০০৩ লর্ডস টেস্ট

৫০তম উইকেট: এম এস ধোনি, ২০০৭, লর্ডস টেস্ট

১০০তম উইকেট: জ্যাক ক্যালিস, ২০০৮, ওভাল টেস্ট

২০০তম উইকেট: পিটার সিডল, ২০১০, পার্থ টেস্ট

৩০০তম উইকেট: পিটার ফুলটন, ২০১৩, লর্ডস টেস্ট

৪০০তম উইকেট: মার্টিন গাপটিল, ২০১৫, লিডস টেস্ট

৫০০তম উইকেট: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, ২০১৭, লর্ডস টেস্ট

৬০০তম উইকেট: আজহার আলি, ২০২০, সাউদ্যাম্পটন

টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকা

মুত্তিয়া মুরালিধরন (১৩৩ ম্যাচে ৮০০ উইকেট)

শেন ওয়ার্ন (১৪৫ ম্যাচে ৭০৮ উইকেট)

অনিল কুম্বলে (১৩২ ম্যাচে ৬১৯ উইকেট)

জেমস অ্যান্ডারসন (১৫৬* ম্যাচে ৬০০ উইকেট)

গ্লেন ম্যাকগ্রা (১২৪ ম্যাচে ৫৬৩ উইকেট)

কোর্টনি ওয়ালস (১৩২ ম্যাচে ৫১৯ উইকেট)

স্টুয়ার্ট ব্রড (১৪৩* ম্যাচে ৫১৪ উইকেট)

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.