আপনি পড়ছেন

হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। কোরআনে ঘোষিত চারটি সম্মানীত মাসের মধ্যে মহররম মাস অন্তর্ভূক্ত। মহররম মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। আরবি আশুরা অর্থ দশম। ইসলামের ইতিহাসে আশুরার দিন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এ দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আমল হলো রোজা রাখা। বুখারিসহ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) আশুরার রোজা রাখার জন্য উম্মতকে উৎসাহ দিয়েছেন।

al quran

আশুরার দিনটি কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার কারণে ইসলামের ইতিহাসে প্রসিদ্ধ। কারবালার ঘটনার তাৎপর্য অস্বীকারের সুযোগ নেই। তবে কেউ কেউ কারবালাকে এমন গুরুত্ব দিয়ে ফেলেন, যাতে করে আশুরার মূল সুন্নাত চাপা পড়ে যায়। অনেককেই বলতে শোনা যায়, কারবালার রোজা রেখেছি, আশুরার নামাজ পড়েছি- ইত্যাদি ধরনের কথা।

আসলে কারবালার রোজা বা আশুরার নামাজ বলে হাদিস শরিফের গ্রন্থগুলোতে গ্রহণযোগ্য কোনো বর্ণনা আলেমরা খুঁজে পাননি। আলেমদের পরামর্শ হলো, আশুরার রোজা রাখুন। এটা সুন্নাত। কারবালার কোনো রোজার কথা সুন্নাহয় বলা হয়নি।

এছাড়াও আলেমরা আরো বলেছেন, রোজা রাখা ছাড়া আশুরার দিনের অন্য কোনো নির্দিষ্ট ইবাদত বা নামাজ নেই।

এ দিনের মাহাত্ম্যের দিকে স্মরণ রেখে বেশি বেশি নফল ইবাদত, তেলাওয়াত, সদকা করার অনুমতি সুফিদের কিতাবে পাওয়া যায়। ফকিহদের দৃষ্টিতেও এতে কোনো দোষ নেই।

holy ashura

আশুরার রোজা দুটি রাখা সুন্নাত। মুসলিম শরিফে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসুল (সা.) আশুরার দিন রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এটা এমন দিন যে দিনকে ইহুদি-খ্রিস্টানরাও সম্মান করে। রাসুল (সা.) বললে, তাহলে আমরা নবম দিনেও রোজা রাখব। তাহলে আর তাদের সঙ্গে মিলবে না।’

মুসানাদে আহমাদে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো। তবে ইহুদিদের মত একটি রোখো না। দশম দিনের আগে বা পরে একটি রোজা বাড়িয়ে রেখো।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর