ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি

বিগত কিছু দিন ধরে হামলা-পাল্টা হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিন মুক্তি তথা প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং দখলদার ইসরায়েল। কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর ঘোষণা দিয়েছে। সে অনুযায়ী উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কার্যালয় থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতারের দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদির সঙ্গে আলোচনার পর তারা সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই সমঝোতার অর্থ হলো যে, আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করবে ইসরায়েল।

গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বেড়া

যুদ্ধবিরতির ফলে- গাজার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে এ ধরেনের কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামাস সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি মেনে চললে গাজা থেকে সব প্রতিরোধকামী সংগঠন হামলা বন্ধ রাখবে। আর এর অংশ হিসেবে গাজায় জ্বালানি সরবরাহের সুযোগ দেবে ইসরায়েল। সেইসঙ্গে মঙ্গলবার থেকে গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হবে।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল গত ৬ আগস্ট থেকে গাজা উপত্যকায় প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে নিয়মিত বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন পাঠানো এবং রকেট হামলা চালানো হয়। এর পাল্টা জবাব হিসেবেই এসব হামলা চালানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাস ২০০৭ সালে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এর অন্যতম সহযোগী হলো পার্শ্ববর্তী মিশর।