আইএইএ: ১০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান

ইরান পারমাণবিক চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নির্দিষ্ট সীমার ১০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। আজ শনিবার জাতিসংঘের এ পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

চুক্তি সীমার ১০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে ইরান- প্রতীকী ছবি

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে প্রতিনিয়ত ইউরোনিয়ামের মজুদ বাড়িয়ে যাচ্ছে। গত ২৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির কাছে ২ হাজার ১০৫ দশমিক ৪ কেজি কম সমৃদ্ধ ইউরোনিয়াম মজুত ছিলো। যা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী ইউরেনিয়াম মজুত সীমার ১০ গুণ বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করতে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করে যক্তরাষ্ট্রসহ ৬টি দেশ। ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ নামের ওই পারমাণবিক চুক্তির বাকি দেশগুলো হলো- চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য। কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ করেই এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচির আওতায় ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়াতে থাকে।

আল জাজিরার প্রতিবেদন

আইএইএ জানায়, ২০১৫ সালের ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ সমৃদ্ধ ২০২ দশমিক ৮ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত রাখতে পারবে। কিন্তু দেশটি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করেছে। তাও আবার নির্দিষ্ট সীমার ১০ গুণ বেশি।

সম্প্রতি জাতিসংঘের পারমাণবিক কমসূচি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শকদের নিজেদের দুটি পারমাণবিক স্থাপনায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইরান। ইতোমধ্যে একটি স্থাপনা থেকে প্রয়োজনীয় নমুনাও সংগ্রহ করেছেন আইএইএ'র পরিদর্শকরা। এসব নমুনা পরীক্ষা করা হবে। আর অপর স্থাপনাটি থেকে নমুনা সংগ্রহের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

তবে ইরানের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।

সাধারণত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টের জ্বালানি হিসেবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশের ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। আর অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ৯০ বা তার বেশি শতাংশের ইউরেনিয়াম।