শব্দের চেয়েও দ্রুত ‘ক্ষেপণাস্ত্র যানের’ মালিক হলো ভারত

ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জন্য শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির যান আবিষ্কার করেছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে নাম লেখালো তারা। সোমবার নতুন প্রযুক্তির এই যানের সফল উৎক্ষেপণও করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক ও অন্যতম সামরিক শক্তির এই দেশটি।

হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপন

বর্তমানে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের কাছে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো ভারতও। ওড়িশার বালেশ্বরে অবস্থিত এপিজে আব্দুল কালাম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে সফলভাবে নতুন প্রযুক্তির এই যানের পরীক্ষা করা হয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতি সেকেন্ডে ২ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারা এই যান শব্দের চেয়েও ৬ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন। এর মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলে সহজেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, ডিআরডিওর বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই এটি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে প্রথমবারের মতো তারা এই পরীক্ষা চালিয়েছেন।

হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র

এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান, ওড়িশার বালেশ্বরে অবস্থিত এপিজে আব্দুল কালাম পরীক্ষা কেন্দ্রে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সেখানে তিনি বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছেন।

অবশ্য এখনো হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করতে পারেনি ভারত। শুধু এটি নিক্ষেপ করার যান সফলভাবে তৈরি করলো। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ ধরনের বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।

সাধারণত ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত এই যানটি হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যায়। এর পর সেখান থেকে 'এয়ার ইনটেক' আলাদা হয়ে চালু হয়ে যায় পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন। তখনই এটি শব্দের চেয়ে ৬ গুণ দ্রুতগতিতে চলতে শুরু করে।