লেবাননে সরকার গঠন ও সংস্কার শুরুর আহ্বান ইতালির

লেবাননের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন ও সহায়তা করার কথা জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। পাশাপাশি সেখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে

জুসেপ্পে কন্তে আশা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুতই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবে লেবানন এবং বৈরুত বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এলাকা ও বন্দরে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, জুসেপ্পে কন্তে হলেন সর্বশেষ কোনো বিদেশি সরকার প্রধান, যিনি গত ৪ আগস্ট বৈরুত বিস্ফোরণের পর লেবানন সফর করেছেন। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৯২ জন মানুষ নিহত এবং ৬ হাজারের বেশি আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া ক্ষতি হয়েছে বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ।

লেবাননের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হলো ইতালি। বিস্ফোরণের ঘটনার পর পরই তারা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি ফিল্ড হাসপাতালসহ বন্দরে কাজ করতে একদল মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারও পাঠায় জুসেপ্পে কন্তের সরকার।

লেবানন সফরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে দেখা করার পর কন্তে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহায়তা পেতে ইতালির ওপর নির্ভর করতে পারে বৈরুত। তারপর তিনি লেবাননের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দেখা করার পরিকল্পনা করেন।

এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক করে বলেছে, ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সংস্কার না করা পর্যন্ত লেবাননকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে না। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি গত কয়েক দশক ধরেই সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক ও আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বৈরুত বিস্ফোরণের পর সেই অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনার ছয় দিন পর নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে পদত্যাগ করে লেবাননের মন্ত্রিসভা। পরে আগস্টের শেষ দিকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মোস্তফা আদিব। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। তবে এখনো তিনি দায়িত্ব নেননি।