নার্সদের তাড়াতে জলকামান

ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার আবেদন নিয়ে নার্সদের আন্দোলন চলছেই। আড়াই মাস ধরে চলা আন্দোলনের এ পর্যায়ে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী নার্সরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে মৃদু সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নার্স আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরও অবস্থান থেকে নড়েননি তারা। পরে রাত আটটার পর জলকামান ব্যবহার করে তাদের তাড়ানো হয়।

বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ধানমন্ডিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় অবস্থান নেন নার্সরা। পরে ধীরে ধীরে স্বাস্থমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে চলে আসেন তারা। এ পর্যায়ে মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে নার্সদের গতিরোধ করে। এ সময়ই সংঘর্ষে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নার্সরা।

সংঘর্ষে আহত হন সুমনা ইয়াসমিন, তানিয়া, সানোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, সলমা ও মুনিরা। এদের মধ্যে সালমা, মুনিরা ও তাৎক্ষণিকভাবে নাম না জানা একজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া আরো কয়েকজন নার্স আহত অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে শুয়ে-বসে অবস্থান নেন।

ঠিক কী কারণে এই আন্দোলন তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির (বিবিজিএনএস) গবেষণা বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন চলমান নার্স নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করে ব্যাচ, মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আগের পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য। এই দাবি নিয়ে আড়াই মাস ধরে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরতে চাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৩০ বা ৩১ মে দেখা করিয়ে দিবেন। কিন্তু তিনি আশ্বাস রাখেননি। এ কারণেই আমরা এখানে এসেছি।’

আশিকুর রহমান অভিযোগ করে জানান, এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তাদের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। অথচ তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যাপারটি জানানো হয়নি বলে দাবি করেন আশিকুর রহমান।

এর আগে মে মাসের এক তারিখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারী নার্সদের আশ্বাস দেন তাদের দাবি মেনে নেয়ার। কিন্তু মে মাস শেষ হয়ে গেলেও মন্ত্রীর আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি বলে বিক্ষোভে নামে নার্সরা। নার্সদের এই আন্দোলনের মূল দাবি, নতুন সৃজিত সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের জন্য ১০ হাজার এবং বর্তমান তিন হাজার ৭২৮টি পদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ পদ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ডিগ্রিধারী নার্সদের এবং বাকি ১১ শতাংশ পদ বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং ডিগ্রিধারীদের দিয়ে পূরণ করা।

আপনি আরো পড়তে পারেন

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে নার্সদের অবস্থান, সংঘর্ষ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগ করা হলো

শিক্ষামন্ত্রী: শিক্ষার মানে এখনও ঘাটতি আছে

জমি কেনার টাকা পেলেন ‘বৃক্ষমানব’