আইএটিএ: করোনার ভ্যাকসিন পরিবহনই সবচেয়ে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। একটি কার্যকর প্রতিষেধকের অপেক্ষায় দুনিয়াবাসী। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন বর্তমানে হিউম্যান ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে থাকলেও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি কোনোটিই। তবে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন পরিবহন নিয়ে কাজ শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আইএটিএ।

করোনার ভ্যাকসিন পরিবহনে প্রয়োজন হবে ৮ হাজার বড় ফ্লাইট- প্রতীকী ছবি

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা পরিবহনের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা, বিমান পরিবহন সংস্থা ও বিমানবন্দরগুলোর সঙ্গে পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে আইএটিএ। প্রাথমিকভাবে এক ব্যক্তির জন্য এক ডোজ করে ভ্যাকসিন হিসাব করে টিকা পরিবহনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সংস্থার কর্মকর্তাদের মতে, সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক সরবরাহ করতে প্রয়োজন হবে বোয়িং-৭৪৭ আয়তনের প্রায় ৮ হাজার বিমান। যা হবে বিমান শিল্পের জন্য শতাব্দীর সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।

আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আইএটিএ

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলেকজান্দ্রি ডি জুনিয়াক বলেন, সারাবিশ্বে নিরাপদে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা কার্গো শিল্পের জন্য একটি বড় মিশন। চাইলেই যখন-তখন ভ্যাকসিন পরিবহন সম্ভব নয়। এ জন্য আগাম প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। তাই তারা এখন থেকেই এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সারাবিশ্বে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছে এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোকে। তাই কার্গো বিমানের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাগুলো। তবে সব বিমানে করেই ভ্যাকসিন পরিবহন করা সম্ভব হবে না। কারণ ওষুধ পরিবহনের জন্য সাধারণত ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। আবার অনেক ওষুধের জন্য হিমশীতল পরিবেশের প্রয়োজন হয়। তাই যেকোনো কার্গো দিয়েই করোনার ভ্যাকসিন পরিবহন সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে আইএটিএ'র হেড অব কার্গো গ্লিন হিউজেস বলেন, ভ্যাকসিন পরিবহনের জন্য ফ্লাইটগুলোতে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা পরিমাপ করা প্রয়োজন। তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন।

বর্তমানে সারাবিশ্বে করোনা প্রতিরোধী ১৪০টি প্রতিষেধ নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে বেশ কিছু ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।