তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চায় গ্রিস

পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকায় তুরস্কের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করা নিয়ে প্রতিবেশী গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। এমতাবস্থায় সংকট সমাধানে আলোচনার জন্য আঙ্কারা রাজি হলেও তাতে সাফ না বলে দিয়েছে এথেন্স। পরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও গ্রিসকে উদ্দেশ করে কড়া বার্তা দিয়েছেন। বলেছিলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তুরস্ক সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকায় তুরস্কের জাহাজ

সেই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গ্রিসের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলতিয়াডিস ভারভিটসিওটিস বলেছেন, আঙ্কারা যদি সাইপ্রাসের সমুদ্যসীমা থেকে সামরিক নৌযান এবং গ্যাস ড্রিলিং জাহাজ অপসারণ না করে তাহলে ইইউ নেতাদের উচিত, সীমিত ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তুরস্কের ওপর একটি কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিকে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই চাপ সীমিত সময়ের জন্য দেয়া হলেও যেন তা গুরুতর এবং কঠোর হয়। আঙ্কারাকে এই বার্তা দিতে হবে যে, ইউরোপ এখানে আলোচনার জন্য এসেছে এবং তার মূল্যবোধ রক্ষার জন্য তারা রয়েছে।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি সংস্থান নিয়ে সাইপ্রাস, গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যকার সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৪-২৫ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পতাকা

মূলত পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিরোধপূর্ণ ওই এলাকায় গত ১ সেপ্টেম্বর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ করার কথা ছিল তুরস্কের। কিন্তু তা বন্ধ না করে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এর পর থেকেই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত এই দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

তুরস্কের এ সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি গ্রিস। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপটিকে 'বেআইনি' আখ্যা দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্যোগ নিতে আঙ্কারার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।