‘সাখারভ পুরস্কার সম্প্রদায়’ থেকে বাদ সু চি

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘঠিত হওয়া গণহত্যা, নির্যাতনের মতো রাষ্ট্রীয় অপরাধকে স্বীকৃতি দেয়ার কারণে মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে 'সাখারভ প্রাইজ সম্প্রদায়' থেকে সরিয়ে দিয়েছে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট (ইপি)।

অং সান সু চি

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ১৯৯০ সালে সু চিকে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়েছিল। যারা মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করেন তাদের জন্য এটি সর্বোচ্চ পুরস্কার। এরপর থেকে প্রতি বছরই এই পুরস্কার জয়ীদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারতেন তিনি। কিন্তু এখন থেকে আর পারবেন না।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, পুরস্কারটি প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। তাই বৃহস্পতিবার সু চির সাখারভ পুরস্কার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইপির নেয়া সবচেয়ে শক্তিশালী সিদ্ধান্ত ছিল এটি।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, তাদের ওপর এই নির্যাতন গণহত্যার উদ্দেশেই পরিচালিত হয়েছিল।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) অং সান সু চি। পুরনো ছবি

তবে মিয়ানমার সরকার সব সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং তারা দাবি করছে যে, তাদের পদক্ষেপগুলো দেশ রক্ষার জন্য রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের বিরুদ্ধে ছিল।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) দেয়া এক ভাষণে সু চি গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখান করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন জানান। প্রায় ৩০ মিনিটের ভাষণে তিনি মোট ৩ হাজার ৩৭৯টি শব্দ উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু একটিবারও রোহিঙ্গাদের নাম মুখে আনেননি।