বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১৮ তলা এ ভবনটি অবৈধ ঘোষণা করে, হাইকোর্টের দেয়া আগের রায় বহাল রেখেছেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২ জুন বৃহস্পতিবার (০২ জুন) রায়টি দেন। মামলার অ্যামিকাস কিউরি অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ জানান, হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভাঙতে হবে।

১৯৯৮ সালের শেষ দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ভবনটি শুরু থেকেই বিজিএমইএ-এর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

২০১০ সালের ২ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউকের কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ানবাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে ভবনটি নিমিরত হয়েছে। ওই দিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোটেরর আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন।

আদালতে দাখিল হওয়ার পরদিনই বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না সে বিষয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। এরপর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে ভবন ভাঙার পূর্ণাঙ্গ হাইকোর্টের রায় প্রকাশ হয় ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ। রায়টি ছিল ৬৯ পৃষ্ঠার।

আদালত রায়ে বলেন, 'ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, ঢাকা মাস্টারপ্ল্যান, জলাধার আইন ও রাজউকের অনুমোদন গ্রহণ না করেই। যার ফলে ভবনটি ভেঙে দিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য।'

ভবনটিকে 'হাতিরঝিলের ক্যান্সার' উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, 'ভবনটি সৌন্দর্য ও মহিমান্বিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। এই ধংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট করা না হলে এটি শুধু হাতিরঝিল প্রকল্পই নয়, সমস্ত ঢাকা শহরকে সংক্রমিত করবে। সুতরাং সরকার এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের ওপর নির্দেশ হলো, ভবনটি ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হবে।'

আপনি আরো পড়তে পারেন

এবার নার্সদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

আত্মপক্ষ সমর্থনে আরও সময় পেলেন খালেদা জিয়া

ঢামেকে কর্মচারী-নার্স সংঘর্ষ, জরুরি বিভাগের ফটক বন্ধ