এবার কৃষ্ণসাগরে অনুসন্ধান জাহাজ পাঠাচ্ছে তুরস্ক

এবার তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য কৃষ্ণসাগরে দ্বিতীয় জাহাজ পাঠাচ্ছে তুরস্ক। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী ফাতেহ দোনমাজ গতকাল রোববার বিকেলে এক টুইট বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।

ফাতেহ দোনমাজ

পূর্ব-ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে গ্রিসের সঙ্গে যখন দেশটির উত্তেজনা চলছে, তখন কৃষ্ণসাগরে দ্বিতীয় অনুন্ধান জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিলো আঙ্কারা। এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তুর্কি জ্বালানিমন্ত্রী এদিন টুইটার বার্তায় জানান, কৃষ্ণসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য তার দেশ আরেকটি জাহাজ পাঠাচ্ছে। কানুনি নামের জাহাজটি শিগগিরই ওই অঞ্চলে তার কাজ শুরু করবে। তবে জাহাজটি ঠিক কৃষ্ণসাগরের কোন এলাকায় অনুসন্ধান চালাবে তা স্পষ্ট করেননি দোনমাজ।

ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নিয়োজিত তুর্কি জাহাজ

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারের সঙ্গে তুরস্ক সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান বিষয়ক চুক্তি করে। এর পর গত ১০ আগস্ট পূর্ব-ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য জাহাজ পাঠায় তুরস্ক। এ নিয়ে দেশটির সঙ্গে গ্রিস ও সাইপ্রাসের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। একই ইস্যুতে গ্রিসের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে ফ্রান্স, যার কড়া সমালোচনা করেছে তুরস্ক।

দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর গত ১২ সেপ্টেম্বর তুরস্কের ওরুস রেইস নামের জাহাজটি দেশটির আনাতোলিয়া বন্দরে ফিরে গেছে। তুরস্কের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে গ্রিস। যদিও ঘোষিত নির্ধারিত সময় অনুসন্ধানের পরই জাহাজটি ফেরত নেয় আঙ্কারা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরের উপকূলে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনির সন্ধান পেয়েছে তুরস্ক। গত ২১ আগস্ট তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান এ খবর দেন। খনিটিতে ৩২০ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এর ফলে দেশটির জ্বালানির চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা খানিকটা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।