আব্বাসকে সরিয়ে দাহলানকে ‘আনতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’

যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে সরিয়ে তার জায়গায় ফাতাহর বরখাস্ত নেতা মোহাম্মদ দাহলানকে বসানোর বিষয়ে বিবেচনা করছে বলে ইসরায়েলকে আশ্বস্ত করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান।

ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান

বৃহস্পতিবার ইসরায়েল টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। গণমাধ্যমটি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।

মার্কিন প্রশাসন ফিলিস্তিনের নতুন নেতা হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত ফাতাহর বরখাস্ত নেতা মোহাম্মদ দাহলানকে মনোনীত করার বিষয়ে বিবেচনা করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রিডম্যান এই উত্তর দেন।

তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে কর্তৃত্ব দেখানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।

গণমাধ্যমটি এটাও উল্লেখ করেছে যে, ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে অপসারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দাহলানকে সমর্থন করতে পারে। তাছাড়া ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব জনগণকে সঠিকভাবে সেবা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ফ্রিডম্যান।

মার্কিন এই কূটনীতিক পশ্চিম তীর প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত জুডিয়া এবং সামেরিয়ার জনগণ আরো উন্নত জীবন চায়। সে জন্য জনগণকে এটা বুঝতে হবে যে, এ জাতীয় লক্ষ্য অর্জন করা আসলেই সম্ভব।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস

'ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব এখনো দীর্ঘস্থায়ী অভিযোগ এবং অপ্রাসঙ্গিক সমস্যার সঙ্গে জড়িত। সে জন্য তাদেরকে একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, কারণ তারা এই মুহূর্তে ইতিহাসের ভুল দিকে রয়েছে।'

এ সময় তেল আবিবে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিম তীরের জমিতে আগে থেকেই ইসরায়েল ও ইহুদি সম্প্রদায়ের বসতি স্থাপনের অধিকার ছিল। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষেও দৃঢ়ভাবে সমর্থন জানান।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১১ সালে ফাতাহর শাসক সংস্থা থেকে মোহাম্মদ দাহলানকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যার ফলে ২০১২ সাল থেকে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তিনি গাজা উপত্যকায় ফাতাহ অধ্যুষিত প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা বাহিনীর সাবেক প্রধান ছিলেন।