বছরে নারী কাঁদে ৬০ বার, পুরুষ মাত্র ৬ বার!

প্রাচীনকাল থেকেই নারীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ গবেষকদের কাছে জনপ্রিয় বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। নারীদের ভাবনা কেমন, তারা কী চায়- এসব বিষয় নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে একেক বয়সের নারীদের চাওয়া এবং মনোগত বিশ্লেষণ একেক রকম। কোন কোন মনোবিজ্ঞানীর মতে, প্রতিটি নারীর ভাবনা-চাওয়া সম্পূর্ণ আলাদা। তবে নারীদের নিয়ে সামগ্রিক বিশ্লেষণ করে মনোবিজ্ঞানীরা কয়েকটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

প্রতীকী ছবি

যদিও প্রতিটি নারীর মানস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ হুবহু তুলে ধরা এক অসাধ্য ব্যাপার, তবে গবেষণায় কয়েকটি কমন ব্যাপার উঠে এসেছে যা সব নারীর ক্ষেত্রে কম বেশি ঘটে থাকে।

১. প্রতিটি মেয়েই জানে সে দেখতে কেমন বা ওই পোষাক তাকে কেমন লাগছে। তবুও তারা বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে চায় তাকে কেমন দেখাচ্ছে। এর কারণ হলো নারীরা প্রশংসা শুনতে খুব বেশি পছন্দ করে।

২. দুর্বল বা আত্মবিশ্বাস কম এমন পুরুষদের নারীরা মোটেও পছন্দ করে না। সাহসী পুরুষ তাদের পছন্দের প্রথম তালিকায় থাকে। এর একটি কারণ হলো নারীরা চায় কেউ একজন তার ওপর আধিপত্য বিস্তার করুক, তাকে শাসন করুক।

৩. পুরুষের তুলনায় নারীরা মিথ্যা বলায় বেশি পারদর্শী হয়ে থাকে। একইভাবে অন্যের মিথ্যা ধরতেও তারা বেশ দক্ষতার পরিচয় দেয়।

৪. কোনো পুরুষ যদি নারীর সূক্ষ্ম কোন বিষয় মনে রাখে, যেমন সে কোন ড্রেস পড়েছে বা লিপিস্টিকের কালার কি ছিল ইত্যাদি, তাহলে ওই নারী নিজেকে স্পেশাল ভাবে এবং ওই পুরুষের প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা কয়েকগুন বেড়ে যায়।

৫. গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত একজন নারী সর্বোচ্চ ৪৭ ঘন্টা ১৫ মিনিট কোনো কথা গোপন রাখতে পারে। তারপর কাউকে না কাউকে গোপন কথাটি সে বলে দেবেই।

প্রতীকী ছবি

৬. গড়ে একজন নারী বছরে ৬০ বার পর্যন্ত কাঁদে, যেখানে পুরুষ কাঁদে মাত্র ৬ বার।

৭. জন্মগতভাবেই নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি ঈর্ষাপরায়ন হয়ে থাকে। যে কারণে হাজবেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের অন্য নারীর সঙ্গে কথার বলার ব্যাপারটা তারা সহজে মেনে নিতে পারে না।

৮. মন থেকে কাউকে ভালোবেসে ফেললে সহজে আর তাকে ভোলা সম্ভব না। কিন্তু একবার ভুলে গেলে, ভুলেও তাকে আর মনে পড়ে না।

৯. পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি হতাশা এবং বিষণ্নতায় ভোগেন।

১০. পুরুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নারীদের কাছে মধুর সঙ্গীতের মতো শোনায়।