খামেনি: ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে ‘গোটা বিশ্ব’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ইসলামি বিপ্লবের পর সৃষ্ট ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দেয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে। যেখানে ‘গোটা বিশ্বের’ পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। ইরান সেই সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়েছে।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

আজ সোমবার থেকে ইরানে শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা দিবসের অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে ইরাক-ইরান যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দেয়া ভাষণে আলি খামেনি বলেন, ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর সৃষ্ট ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করার চক্রান্ত হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে ইরাকের মাধ্যমে ইরানের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

তিনি বলেন, ওই যুদ্ধে ইরাককে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল তৎকালীন বিশ্বের দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু তাদের সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হয় এবং ইরানের নিশ্চিত বিজয় হয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে ইরাকের তৎকালীন শাসক সাদ্দাম হোসেন ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। আট বছর স্থায়ী হয় সেই যুদ্ধ। এ উপলক্ষে প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ ‘পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহ’ পালন করে আসছে ইরান।

পার্সটুডে জানিয়েছে, আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ইরাকের আগ্রাসী বাহিনী সারাবিশ্বের সকল শক্তির সম্মিলিত পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে আট বছর ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। কিন্তু এক বিঘত ভূমিও দখলে রাখতে পারেনি।

তিনি বলেন, ওই যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল ইসলামি বিপ্লবকে ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ই-নি, উল্টো ইসলামি বিপ্লব অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইরানের কাজার শাসক ও পাহলাভি শাসক নিজেদের নিরপেক্ষ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তার পরও বিদেশি সেনারা উভয় যুদ্ধেই ইরানে অনুপ্রবেশ করে ও সাময়িকভাবে এ দেশ দখল করে নেয়। এমনকি মার্কিন ও সোভিয়েত সেনারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই তেহরানে দম্ভের সঙ্গে প্যারেড করেছে। অথচ ইসলামি বিপ্লবের পর ইসলামপ্রিয় যোদ্ধারা এক ইঞ্চি ভূমিও হারাতে দেননি।