এফ-৩৫: আমিরাতকে ৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে

বিতর্কিত অস্ত্র চুক্তির অধীনে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে কমপক্ষে ছয় বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান। অন্যদিকে, তেল আবিব দাবি করেছে যে, এই অঞ্চলে তাদের সামরিক সুবিধা হুমকির মুখে রয়েছে।

ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান

দ্য জেরুজালেম পোস্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রেডম্যান বলেন, আমিরাত গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদি তারা অনুমোদন পেয়ে থাকে তাহলে তাদের হয়তো এখন থেকে আরো ছয়-সাত বছর অপেক্ষা করতে হবে।

দ্য নিউ আরবের খবরে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্বীকার সত্ত্বেও সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটনের কাছ থেকে উপসাগরীয় দেশটির পুরস্কার হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পাশাপাশি এই চুক্তির মধ্যে মার্কিন অস্ত্রাগারের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান এফ-৩৫, রিপার ড্রোন এবং ইএ-১৮ জি গ্রোয়ার জেটসের মতো অস্ত্রশস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক যুদ্ধ বিমান আছে, যা শত্রু বিমানের প্রতিরক্ষা জ্যামের মাধ্যমে স্টিলথ আক্রমণ পরিচালনা করতে পারে।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। তারা এই অঞ্চলে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় তেল আবিবের কোয়ান্টেটিভ মিলিটারি এজ (কিউএমই) বজায় রাখা নিশ্চিত করার ওয়াশিংটনের আইনি বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেছেন।

জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বলেন, তারা কী বিষয়ে ভয় পাচ্ছে বা কী চায় বা কী পাবে সে বিষয়ে আলোচনা করা ইসরায়েলের স্বার্থ নয়।

অস্ত্র চুক্তিটিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করায় বিরোধীদের অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, উভয় দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তাই এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু করার কোনো দরকার নেই।