ইউরোপের ১১টি অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ১১টি অঞ্চলকে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জার্মানি। গত বুধবার রাতে এ অঞ্চলগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।

জার্মানিতেও দিন দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ- প্রতীকী ছবি

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সেখানে পর্যটনের ওপর বাধাও। তাই পর্যটকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি অঞ্চলকে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জার্মান সরকার। করোনার সংক্রমণের হার বিবেচনা করে এসব অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়।

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ১১টি অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, ডেনমার্কের রাজধানী কপেনহেগেন, পর্তুগালের লিসবন, অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডের একটি করে অঞ্চল এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্রায় সবগুলো অঞ্চল।

করোনাভাইরাস- প্রতীকী ছবি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশের কোনো অঞ্চলে যদি প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৫০ জন এক সপ্তাহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তাহলে সেই অঞ্চলকে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে সতর্কতা জারি করে জার্মান সরকার। এতে চিহ্নিত অঞ্চলে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে পারেন যাত্রীরা। এমনকি সেখানে যাবার জন্য যদি টিকেট বা হোটেল বুকিং দেওয়া হয় তাহলে কোনো প্রকার জরিমানা ছাড়াই সেটি ফেরত পান যাত্রীরা। তবে সতর্কতা লঙ্ঘন করে কেউ সেসব জায়গায় গেলে তাকে বিভিন্ন রকমের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

এদিকে দিন দিন জার্মানিতেই বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের আক্রান্ত হচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি দেহরক্ষীর শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ায় কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য হন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস।