আপনি পড়ছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বৈধতা দেয়ার’ অভিযোগ তুলেছে ছাত্র ইউনিয়ন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা ঢাবি ক্যাম্পাসে তাকে আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়।

sanjit duঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস

কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন ও ঢাবি শাখার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল রোববার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক কর্মসূচিতে সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া অন্য কোনো নারী যদি নির্যাতনের শিকার হয়...তা প্রতিহত করব’। তার এই বক্তব্য ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ক্রমাগত ঘটে চলা ঘটনাকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এসে নির্যাতিত নারীর মধ্যে ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ খোঁজার মাধ্যমে ছাত্রলীগের নারী নিপীড়কদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস করছেন সঞ্জিত। ছাত্রলীগ এখন ধর্ষক-নিপীড়কদের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা মানিকের ধর্ষণে সেঞ্চুরি পালন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ঢাবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নারী নিপীড়ন এবং সর্বশেষ সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গণধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরা হয়। এর প্রেক্ষিতে নারী নির্যাতনকে ছাত্রলীগ সভাপতি বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা করলে একটুও বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃত্ব।

bangladesh student union newছাত্র ইউনিয়ন

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে একক ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্র ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যোদ্ধা ছিল দাবি করে সংগঠনটির নেতারা বলেন, ছাত্রলীগের অপকর্মকে বৈধতা দিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-আদর্শকে কলঙ্কিত করেছেন সঞ্জিত। তিনি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য ও ঢাবিকে কলঙ্কিত করেছেন। ঢাবি শিক্ষার্থীরা সঞ্জিতকে ক্যাম্পাসে আর দেখতে চায় না।