অসুস্থ মানুষ কীভাবে রোজা রাখবেন?
- Details
- by রামাদান
সামান্য অসুস্থ হলেই রোজা রাখা থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না। ভয়ানক অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তিও রোজা না রাখতে পারলে রোজার সদকা দিতে হয়। তাই অসুখের সময় জেনে-বুঝে রোজা রাখবেন কি রাখবেন না, সেটার সিদ্ধান্ত নিন। তবে মনে রাখবেন, অসুস্থ ব্যক্তি নিজে রোজা রেখে কোনোরকম সমস্যা বোধ না করলে এবং তাতে ডাক্তারের কোনো আপত্তি না থাকলে তাঁকে রোজা রাখতে দেওয়াই উত্তম।
স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে অনেকেই রোজা রাখতে চান না। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, চলতি ওষুধগুলোর ব্যবহারবিধি কিংবা ধরণ পরিবর্তন করে অধিকাংশ রোগব্যাধি নিয়েই রোজা রাখা সম্ভব। যেমন, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের পক্ষে রোজা পালন সম্ভব। রোজা অবস্থায় ইনহেলার নিলে রোজার ক্ষতি হয় না। তবে সেহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার ব্যবহারই নিরাপদ।
রোজায় কারো অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেহরি ও ইফতারের সময় রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের একটি করে ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন। ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকলে রোজা রাখার জন্য নতুন নিয়মে ওষুধ গ্রহণ করে দেখতে পারেন। যদি নতুন নিয়মে সমস্যা না হয় রোজা রাখা সহজ হবে।
কোন ডায়াবেটিক রোগী যদি বিশেষ খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে রোজা রাখা খুব সহজ ও উপকারী হবে। ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোজা রাখা জরুরি। ইনস্যুলিন গ্রহণকারী রোগীদের চিকিতৎসকের পরামর্শক্রমে রোজা রাখা উচিত।
কিডনি আক্রান্ত রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। কিডনি ফেইলিউর রোগীদের সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হয়, নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। যাদের কিডনি ফেইলিউরের মাত্রা একেবারে শেষ পর্যায়ে কিংবা ডায়ালাইসিসের রোগী অথবা ইতোমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন, তাদের পক্ষে রোজা রাখা প্রায় অসম্ভব। তবে যে কোন শারীরিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয়।
মনে রাখুন, রোগ অনেক সময় রোজা রাখার ক্ষেত্রে বাধাস্বরূপ কিন্তু তা যেন অকারণ অজুহাত না হয়ে যায়।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর