আপনি পড়ছেন

পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে মর্যাদামণ্ডিত আয়াত সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। যা আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। দীর্ঘ এই আয়াতটি অনেকেই মুখস্ত করে থাকেন। হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, এ আয়াতটি মানুষকে বিশেষ বিশেষ সুরক্ষা দিয়ে থাকে। শুধু মানুষ নয়, মানুষের সম্পদকেও সুরক্ষা দেয় এই আয়াত।

al quran

এখানেই শেষ নয়, এ আয়াতের নিয়মিত আমলের বিনিময়ে রয়েছে পরকালীন অবিশ্বাস্য প্রতিদান। তাই চলুন- হাদিসের আলোকে আয়াতুল কুরসির কয়েকটি ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিই।

১. মৃত্যুর পরে জান্নাত নিশ্চিত

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর কারো সঙ্গে কথা বলার আগেই আয়াতুল কুরসি পড়ে নেবে, তার আর জান্নাতের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো পর্দা থাকবে না। সহি আল জামে।

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার কবর আজাব মাফ করে দেওয়া হবে এবং সে নিশ্চিত জান্নাতি হবে। বাইহাকি।

২. মৃত্যুর যন্ত্রণা কম হয়

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এর ওফাতের সময় সম্মানীত ফেরেশতা হজরত আজরাইল (আ.) এসে বলেন, হে ইমামুল মুরসালিন খাতামুন নাবিয়্যিন, আপনার কোনো উম্মত যদি নিয়মিত আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করে, মৃত্যুর সময় অতি সহজে তার জান কবজ করা হবে। শুয়াবুল ইমান।

ayatul kurshi

৩. নিরাপত্তার গ্যারান্টি

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, সারা রাত একজন ফেরেশতা তাকে পাহারা দেবে এবং শয়তান তাকে আক্রমণ করতে পারবে না। সহি বুখারি।

অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারবে না এবং তার জীবন ও সম্পদ পাহারা দেওয়ার জন্য একদল ফেরেশতা আল্লাহতায়ালা নিয়োগ করবেন। মুস্তাদরাক হাকেম।

৪. শান্তির নিশ্চয়তা

আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার প্রতিবেশী এবং এলাকাবাসীর ওপর আল্লাহ তায়ালা বিশেষ শান্তি বর্ষিত করবেন। বাইহাকি।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর