ডিমকাণ্ডে বিএনপির ১২ জন বহিষ্কার

রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাড়া বাসায় হামলা চালানোর ঘটনায় দলটির নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যে ১২ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত শনিবার হামলা চালানোর পর বিএনপি মহাসচিবের বাসার সামনের চিত্র

সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এবিএম আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় জড়িতদের সবাই মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক তাদের সব পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো এবং অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন- দক্ষিণখান থানা সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সদস্য নাজিমউদ্দিন দেওয়ান, আমজাদ হোসেন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছ, উত্তরা পূর্ব থানা সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম, মতিউর রহমান মতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান মিলন, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উত্তর খান থানা সদস্য নূর মোহাম্মদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমর্থকরা এ হামলা চালায়। তারা গত শনিবার মির্জা ফখরুলের বাসায় ইট-পাথর ও ডিম নিক্ষেপ করে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

অবশ্য এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এবং সরকারি মদদের কথা উল্লেখ করে ওইদিনই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, কিছু কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে উত্তরায় অবস্থিত বাসাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, বিএনপি মহাসচিবের বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়টি সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করা হয়। সভায় নেতারা জানান, সরকারের ইন্ধনেই এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ ও নারী নির্যানের বিরুদ্ধে সারাদেশে যে আন্দোলন চলেছে সেটিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করতেই সরকারের এজেন্টরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।